চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে বাডাস রিজিওনাল ওয়ার্কশপ
এ ওয়ার্কশপের ফলে ডায়াবেটিক হাসপাতালের সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে : জেলা প্রশাসক
‘শৃঙ্খলাই জীবন’ এই শ্লোগানে চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, কোম্পানীগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম, রামগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির অংশগ্রহণে এবং চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতির আয়োজনে বাডাস রিজিওনাল ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী ওয়ার্কশপটি তিন পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান। হাসপাতালের জুনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট উজ্জ্বল হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাসপাতালের স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক মুহাম্মদ জাকির হুসাইন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম। ওয়ার্কশপের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অ্যাফিলিয়েটেড অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম খান।
উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ও জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান বলেন, আজকে ৯টি ডায়াবেটিক সমিতির নির্বাহী পরিষদ, চিকিৎসক, নিউট্রিশন অফিসার, হেল্থ অ্যাডুকেটর ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অংশগ্রহণ করেছেন। আমি আশা করছি, আজকের এ ওয়ার্কশপের ফলে আপনাদের মাধ্যমে ডায়াবেটিক হাসপাতালের সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অন্যান্য ডায়াবেটিক সমিতির অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান।
সকালের পর্বে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব মোশতাক হায়দার চৌধুরী, প্রফেসর ড. শায়ের গফুর, সমিতির পরিচালনা পরিষদের নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সুভাষ চন্দ্র রায়, ডাঃ মোঃ একিউ রুহুল আমিন, কাজী শাহাদাত, আলহাজ্ব এমএ বারী খান, পরেশ চন্দ্র সাহা, আলহাজ্ব আবুল কালাম পাটওয়ারী, সমাজসেবা অধিদপ্তর চাঁদপুরের ডিডি রজত শুভ্র সরকার ও ডাঃ বিশ্বনাথ পোদ্দারসহ চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এছাড়া বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অ্যাফিলিয়েটেড অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ রশিদ-ই-মাহবুব, বারডেম হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডাঃ তারিন আহমেদ, বারডেম হাসপাতালের সিনিয়র নিউট্রিশন অফিসার খালেদা খাতুন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হাসেম আলীসহ অন্যান্য ডায়াবেটিক সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে নয়টি ডায়াবেটিক সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গ্রুপ ডিসকাশন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। গ্রুপ ডিসকাশন পর্ব ৪টি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয়। গ্রুপগুলো : অধিভুক্ত সমিতির নির্বাহী পরিষদ, চিকিৎসক, নিউট্রিশনিস্ট/হেল্থ অ্যাডুকেটর, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইত্যাদি।
পবিত্র জুমার নামাজের বিরতি ও মধ্যাহ্নভোজের পর অনুষ্ঠিত হয় ডায়াবেটিক আপডেট উপস্থাপন। উপস্থাপন করেন চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ মশিউর রহমান। এরপর শুরু হয় গ্রুপ ডিসকাশন পর্বের রিপোর্টিং। রিপোর্টে ডায়াবেটিক হাসপাতালসমূহের চিকিৎসার মানোন্নয়ন, খাদ্যপুষ্টি, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ ও মতামত প্রদান করা হয়। রিপোর্টিং ও সমাপনী অনুষ্ঠানে রিপোর্ট উপস্থাপন করেন এবং বক্তব্য রাখেন বারডেম হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হাসেম আলী, সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট খালেদা খাতুন, এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডাঃ তারিন আহমেদ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উপদেষ্টা ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম খান ও অ্যাফিলিয়েটেড অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ রশিদ-ই-মাহবুব, চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতির নির্বাহী সদস্য কাজী শাহাদাত। সবশেষে ধন্যবাদ ও সমাপনী ঘোষণা করেন চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতির অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম।