হাজীগঞ্জে কনে ছাড়াই বাড়ি ফিরলেন বর পক্ষ
কনে ছাড়াই বাড়ি ফিরতে হয়েছে বর পক্ষকে। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ার কারণে বিয়ে বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সংক্রান্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করে বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরেন এই ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল রোববার দুপুর এ ঘটনা ঘটে হাজীগঞ্জের বাকিলা গ্রামের সন্না মোল্লা বাড়িতে। শিক্ষার্থী ওই বাড়ির মালেক মোল্লার মেয়ে। বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটোয়ারী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, একই ইউনিয়নের বাকিলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলামের সাথে ওই শিক্ষার্থীর বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয় রোববার দুপুরে। সে অনুযায়ী বর ও বর পক্ষের অতিথিগণ কনের বাড়িতে যথাসময়ে উপস্থিত হন। এর কিছুক্ষণ পরে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটওয়ারীসহ অন্যরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র অনুযায়ী ৭ এপ্রিল ২০০১ সালে শিক্ষার্থীর জন্ম সাল মোতাবেক ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় এই শিক্ষার্থীর বিয়ে তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেন। সে সাথে শিক্ষার্থীর ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ার পূর্বে বিয়ে দেয়া হবে না এমন শর্তে শিক্ষার্থীর মা, মামা, চাচা ও বরের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন ম্যাজিস্ট্রেট। এরপরেই আমন্ত্রিত অতিথিরা আপ্যায়িত হয়ে বর পক্ষকে কনে ছাড়াই বিদায় নিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিয়াউল হক চৌধুরী বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়ের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং মেহমানদের জন্যে খাবার আমন্ত্রিত অতিথিসহ স্থানীয় গরিব-দুঃখীর মাঝে বিলিয়ে দেয়া হয়েছে।