• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ইউপি সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশ:  ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হাইমচর উপজেলার ৬নং চরভৈরবী ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য নাজমা রহমানের স্বামীর বিরুদ্ধে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে ভাতাভোগীরা।
    ভাতাভোগীরা জানান, ভাতার তালিকাভুক্ত হয়ে গত ০৯ অক্টোবর সকালে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা উত্তোলন করার জন্যে সোনালী ব্যাংক হাইমচর শাখায় যান। তারা ৪ মহিলা ব্যাংকে গিয়ে ভাতা উত্তোলন করার পার কৌশলে মহিলা সদস্যার স্বামী মোঃ মিজানুর রহমান প্রধানীয়া তাদের হাত হতে ভাতার ৬ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। ৬ হাজার টাকার মধ্যে প্রতিজন হতে ৫ হাজার টাকা রেখে দিয়ে ১ হাজার টাকা ভাতার বইয়ের মধ্যে দিয়ে তাদের হাতে ভাতার বই দিয়ে দেন। ভাতাভোগীরা প্রতিবাদ করলে মিজান প্রধানীয়া অফিসের খরচ দিতে হবে বলে জানান তাদেরকে। ভাতাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন সামসুন্নাহারের স্বামী মৃত মোঃ ওছমান বকাউল, বিধবা ভাতা বই নং ১৩৫৪, এ/সি ৮৮৫৭, আছিয়া বেগম স্বামী জলিল বেপারী, বয়স্ক ভাতা বই নং ৩৯২০, এ/সি ৮৮৩৩, হালিমা বেগম স্বামী মৃত খলিলুর রহমান বিধবা ভাতা নং ১৩৩৯, এ/সি নং ৮৮৪২, বিলকিস স্বামী মৃত নূর জামান বকাউল সর্বসাং দক্ষিণ পাড়া বগুলা ওয়ার্ড নং ৭।
    ভুক্তভোগীরা গতকাল ১১ অক্টোবর বিকেলে সাংবাদিকদের নিকট তাদের টাকা আত্মসাতের কাহিনীর বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং তাদের আত্মসাৎকৃত টাকা ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলমাছ বকাউল জানান, মিজানুর রহমান প্রধানীয়া আমার ওয়ার্ডের অসহায় নারীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেয়েছি। এ ধরনের কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি তদন্ত সাপেক্ষে আত্মসাৎকারীর শাস্তি কামনা করছি।
    স্থানীয় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ফকির জানান, আমার বাড়ির আশেপাশের ৪জন মহিলা তাদের ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছে এ রকম অভিযোগ আনলে আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবগত করি। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের আশ^াস দিয়েছেন।
    এ সম্পর্কে জানতে চাইলে  অভিযুক্ত মিজানুর রহমান প্রধানিয়া জানান, আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে ষড়যন্ত্র করছে একটি পক্ষ। তিনি আরো জানান, আমার স্ত্রী নাজমা রহমান দুই দুই বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিপক্ষ লোকজন সামাজিকভাবে মানসম্মান ক্ষুণœ করার জন্য তাদের নিজস্ব কার্ডধারী লোক দ্বারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে।
    উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ফেরদৌসী বেগম জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।

সর্বাধিক পঠিত