বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ইনার হুইল ক্লাব অব চাঁদপুর সেন্ট্রালের আয়োজন
দুই গুণী শিক্ষিকাকে সংবর্ধনা
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ইনার হুইল ক্লাব অব চাঁদপুর সেন্ট্রালের উদ্যোগে চাঁদপুরের দুই গুণী শিক্ষিকাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
গতকাল ৬ অক্টোবর বিকেলে চাঁদপুর শহরের কবি নজরুল সড়কস্থ চাঁদপুর রোটারী ভবনে দুই শিক্ষিকাকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংগঠনের সভানেত্রী নাঈমা মোশারফের সভাপ্রধানে এবং সাধারণ সম্পাদিকা তাছলিমা মুন্নী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট তাসনুভা তন্নীর পরিচালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের সাবেক সভাপতি রোটাঃ কাজী শাহাদাত, চাঁদপুর সেন্ট্রাল রোটারী ক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন, চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোটাঃ শাহেদুল হক মোর্শেদ, ইনার হুইল ক্লাব অব চাঁদপুর সেন্ট্রালের চার্টার প্রেসিডেন্ট ফাতেমা হোসেন ও চাঁদপুর সরকারি বিশ^বিদ্যালয় কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলমগীর বাহার। অনুষ্ঠানে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষিকা খালেদা খানম ও হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইসমত আরা সাফী বন্যাকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা স্বরূপ ক্রেস্ট, সম্মাননাপত্র ও উপহার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ আফরোজা খানম। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু করা হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এতে সংবর্ধিত অতিথিদের জীবনী পাঠ করা হয়। এর পরপরই সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে যারা শিক্ষকতা পেশায় জড়িত রয়েছেন তাদের সকলকেও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়। এঁরা হচ্ছেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, সদস্য রওশন আরা বেগম, তাছলিমা মুন্নী, তাসনুভা তন্নী, সাবেক সভাপতি ফারজানা বেগম লাকী, আফরোজা খানম ও নুরজাহান বেগম সেতু।
সংবর্ধিত অতিথি ইসমত আরা সাফী বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর আমি শিক্ষকতা পেশায় জড়িত। এই পেশায় যে সম্মান রয়েছে সেটি আজ আমি অনুভব করছি। এ সংগঠনটি আমাকে সংবর্ধিত করে ও সম্মাননা দিয়ে আমার দায়িত্বকে আরও সততার সাথে পালনের অনুপ্রেরণা দিয়েছে। কাজী শাহাদাতের বক্তব্যের রেশ ধরে তিনি বলেন, দামী জিনিস অল্প কিন্তু অনেক ভারী। তাই এই অনুষ্ঠানটি ছোট্ট আকারে হলেও অনেক মর্যাদাপূর্ণ। সংবর্ধনার জবাবে খালেদা খানম বলেন, বর্তমানে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শাসন করা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা শিক্ষক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব যেমনি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে গঠন করার, তেমনি আমাদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরকেও সন্তানদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ার জন্যে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতি গঠনে শিক্ষকতা পেশাকে ভালোবেসে এ পেশায় এসেছি। এটি মানব সেবার একটি মাধ্যম । কর্মজীবনে ভালো করায় সংগঠনটি আমাকে সংবর্ধনা দেয়ায় আমি যেনো নূতন দায়িত্ববোধে জেগে উঠলাম।
রোটাঃ কাজী শাহাদাত বলেন, অনুষ্ঠানটি ছোট আকারে হলেও এটি একটি মহতী উদ্যোগ। আর যাঁদেরকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হলো তাঁরা আমাদের সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশার মানুষ। তারাই জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বাহারের পরিচালনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।