• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রাণ ফ্রুটিকস্ ১০ম চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসব

ইলিশ উৎসব এখন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নয়, এটি চাঁদপুরবাসীর সার্বজনীন উৎসব : পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন

প্রকাশ:  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে প্রাণ ফ্রুটিকস্ ১০ম ইলিশ উৎসবের চতুর্থ দিনে বেশ কিছু পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুণী ব্যক্তিদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় ইলিশ জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে মেহেদী রঙ্গে গ্রাম্যবধূ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
    এরপর নোয়াখালী ও বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় প্রীতি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। ‘এখনকার যুগের চাইতে  আগেরকার যুগ ভালা আছিলো’ এই বিষয়ের উপর বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। পক্ষ দলে রাসেল হাসানের নেতৃত্বাধীন চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমী নোয়াখালীর ভাষায় ও বিপক্ষ দলে শামীম হাসানের নেতৃত্বাধীন চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন ফরিদগঞ্জ শাখা বরিশালের ভাষায় বিতর্কে অংশগ্রহণ করে।
    সন্ধ্যায় ইলিশ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চতুরঙ্গের উপদেষ্টা ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সমবায়ী জসিম উদ্দিন শেখের সভাপ্রধানে এবং হারুন আল রশীদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক চাঁদপুরের কৃতী সন্তান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইলিশ উৎসবে এসে আমি অভিভূত হই। এখানে আসলে কৈশোর জীবনের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। হাজীগঞ্জে যখন বিদ্যালয়ে পড়তাম তখন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। অনেক সময় জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চাঁদপুরে আসতাম। তখন শিশুশিল্পী তাহমিনাকে দেখতাম। এই নামটি আমার মনে ছিল। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় এসে একবার এ তাহমিনাকে খুঁজতে গিয়ে জেনেছি তিনি হারুন ভাইয়ের স্ত্রী সে। সে সময়ের অনেক শিল্পী বিভিন্ন কারণে হারিয়ে গেছে। কিন্তু তাহমিনা হারুন দম্পতি ইলিশ উৎসবের মাধ্যমে চাঁদপুরের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে ইলিশ উৎসবের মাধ্যমে ইলিশকে প্রমোট করা হচ্ছে। এ উৎসব কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নয়, আগামীতে ইলিশ উৎসব চাঁদপুরবাসীর সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হবে এবং জাতীয় উৎসব হবে। তিনি বলেন, ইলিশ রক্ষায় জেলেদের জন্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা সরকারের মহতী উদ্যোগ। ত্রাণ ও মৎস্য মন্ত্রণালয়কে এজন্যে আমরা ধন্যবাদ জানাই। ইলিশ উৎসবে যে ইলিশ রান্নার প্রতিযোগিতা হয় তা করলে ইলিশ উৎসবের আরও বিস্তার ঘটবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক অরুণেন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী বলেন, অক্টোবর মাসে আমরা মা ইলিশ না ধরার মৌসুম পালন করে থাকি। বাংলাদেশের ২৯টি জেলায় ১২৭টি উপজেলায় জেলেদের জন্যে ৪০ কেজি করে চাল সরকার বরাদ্দ দিয়ে থাকে। ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত চাঁদপুরসহ ২৯টি জেলার ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭শ’ ৯টি জেলে পরিবারকে সরকার খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে। সরকার জেলেদেরকে অন্য পেশায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভোলা, বরিশাল ও নোয়াখালী জেলায় অনেক জেলে রয়েছে। সেখানেও সরকার তাদের পুনর্বাসন করার জন্যে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান। অনুষ্ঠানে উৎসবের পক্ষ থেকে ওপার বাংলার কণ্ঠশিল্পী ডাঃ উত্তম সাহা সাগর, বাফার সভাপতি হাসানুর রহমান বাচ্চু, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ রহমান লাবণী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এছাড়াও সকলকে উৎসবের ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হয়। মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার এবং উৎসবের আহ্বায়ক ও সাহিত্য একাডেমীর মহাপরিচালক কাজী শাহাদাত। এছাড়াও উৎসবে বিভিন্ন সংগঠনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।