• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

বালিয়া ইউনিয়নে ডাকাতির ঘটনায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ

প্রকাশ:  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নে ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন। ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খানের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের নেতৃত্বে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ফোর্সসহ আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। তারা আহত তানভীর হোসেন ও তার স্ত্রী সুচিকিৎসার জন্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আতঙ্কগ্রস্ত এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে তাদের অভয় দিয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।
    জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৩টার সময় ৩নং ওয়ার্ডের মধ্য বালিয়া গ্রামের জহিরের বাড়ির লোকজনের হাত-পা-মুখ বেঁধে বসতঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ৩ নারীসহ গৃহকর্তা গুরুতর আহত হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় জহির গাজীর ভাড়াটিয়া ত্রিপুরা সমাজ উন্নয়ন সংস্থান কম্পিউটার সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক তানভীর হোসেন (৩৩), তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার (৩০) ও বাড়ির মালিকের বোন জ্যোৎস্না বেগমকে ঘটনার রাত ৪টার সময় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কালো টর্চলাইট জব্দ করেছে।
    আহত তানভীর হোসেন জানান, ৫/৬ জনের ডাকাত দল প্রথমে বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে তারপর ঘরের দরজা ভেঙ্গে বাড়ির মালিকের বোন ও ভাগ্নিকে মুখ চাপা দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর আলমিরা তছনছ করে লুটপাট শুরু করে। পরে আমাদের ঘরের দরজা আঘাত করলে আমরা ঘুম থেকে উঠে পড়ি। ডাকাতরা তখন আমার ও আমার স্ত্রীর উপর কাঠের টুকরা ও টর্চলাইট দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত শুরু করে। তখন সাহস করে চিৎকার করলে এক পর্যায়ে বাড়ির আশপাশের লোকজন ছুটে আসতেই ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ডাকাতদের কাউকে চিনতে পারেননি বলে জানান তানভীর হোসেন। পরে ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামকে জানালে তিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
    এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সুপার সদর সার্কেল স্যারসহ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘরে ল্যাপটপ, মোবাইলসহ অনেক কিছু থাকা সত্ত্বেও তারা কিছুই নেয়নি। শুধু শিক্ষক পরিবারের উপর হামলা করে চলে গেছে। তাই ঘটনাটি রহস্যজনক। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।