• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই রোগীর আঙ্গুল কেটে ফেলে দিলেন সহকারীরা

প্রকাশ:  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই ঘোটার জন্য কালু গাজী (৬৫) নামের এক রোগীর হাতের  আঙ্গুল  কেটে ফেলে দিলেন মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্টরা। চিকিৎসক এবং রোগীর লোকজনকে জানানো ছাড়া সামন্য রোগের জন্য অন্যায়ভাবে হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ওই রোগী ও তার লোকজন। এ নিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর  রোববার দুপুরে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের সামনে রোগী ও মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্টদের মাঝে অনেক বাকবিতন্ডা হয়েছে। 

জানাযায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চর বাকিলা গ্রামের মৃত হোসেন আলী গাজীর ছেলে কালু গাজী তার বাম হাতের আঙ্গুলে ঘোটা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডাঃ রফিকুল হাসান ফয়সাল তাকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে এক্সরে এবং আঙ্গুলের ওইস্থানে ওয়াশ করার পরামর্শ দেন। রোগী কালু গাজি জানান,  চিকিৎসকের কথা মতো তিনি হাসপাতালের ২য় তলার অপারেশন রুমের সামনে থাকা ওয়াশ রুমে যান। সেখানে দায়িত্বরত  মাহাবুব এবং পলাশসহ ৩ জন মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট তার হাতের ঘোটার ক্ষতস্থানটি ওয়াশ না করে রোগী এবং চিকিৎসকের কোন প্রকার যোগ জিজ্ঞাসা ছাড়াই কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে তার বাম হাতের মাঝ কানের আঙ্গুল কেটে ফেলে দেন। এতে রোগীর লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাদের ছবি তুললে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তারা গা ঢাকা দেয়। পরে বিষয়টি হাসপাতালের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা হাসপাতালের বিভিন্ন জনের কাছে গিয়ে অভিযোগ করলেও কোন প্রকার শান্তনা বা প্রতিকার পাননি বলে তাদের অভিযোগ। 
এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডাঃ রফিকুল হাসান ফয়সালের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, রোগীটির বাম হাতের আঙ্গুলের মাঝ প্রান্তে ঘোটা ও গ্যাংরিন হওয়ায় ক্ষত হয়ে গেছে। তার আঙ্গুলের ক্ষতবিক্ষত হয়ে এতটাই ক্ষতি হয়েছে যে আঙ্গুলের মাংশ পচে হার পর্যন্ত দেখা গেছে। তাই আমি তাকে বিভিন্ন পরীক্ষা দিয়ে ওয়াশ করার পরামর্শ দিয়েছি। যারা আঙ্গুলটি কেটে ফেলেছে তাদের কে আমি বলেছি যে আঙ্গুলটি হয়তো বা কেটে ফেলতে হতে পারে। তারপরেও তোমরা ডেসিং করে দেখো কিছু করা যায় কিনা। কিন্তু তার পরেও যেহেতু তারা আমাকে কোন কিছু না জানিয়ে বা রোগীর কোন  অনুমতি না নিয়ে আঙ্গুলটি কেটে ফেলেছে  সেটা অবশ্বই তারা ভুল বা অন্যায় করেছে। 

সর্বাধিক পঠিত