প্রধান শিক্ষক হুমায়ূন কবিরের ১ম মৃতুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বক্তাগণ
তিনি ছিলেন আদর্শবান কর্মদক্ষ শিক্ষক
চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রাবাজার ইয়াকুব আলী স্মারক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হুমায়ূন কবির পাটওয়ারীর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর শনিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের আয়োজনে এই স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম (বাবুল) পাটওয়ারীর সভাপ্রধানে ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফাহিমুল ইসলাম শশীর পরিচালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আওলাদ হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা খালেদা বেগম, সিনিয়র শিক্ষক ওমর ফারুক, মরহুম মোঃ হুমায়ূন কবিরের বড় ভাই আলী আহম্মদ পাটওয়ারী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইউছুফ শেখ, সেলিম পাটওয়ারী, ইয়াকুব আলী স্মারক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান, মোঃ রাসেল, নূর মোহাম্মদ, প্রাক্তন শিক্ষার্থী সুমন চন্দ্র বেদনাথ, মোঃ ইব্রাহিম. হোসেল গাজী, মোঃ নাজমুল, বাপ্পি পাটওয়ারী, মোঃ রাজু জমাদার, রিয়াজুল হক, নূর মোহাম্মদ, মোঃ মামুন, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ সাদেক রহমান প্রমুখ। এ সময় জহির পাটওয়ারী, জব্বার পাটওয়ারী, প্রাক্তন ছাত্র তুহিন পাটওয়ারী, রিয়াদ, শাওন, রাজু, ওমর, ইব্রাহিম ইবু, শুভ, তানভির, আনোয়ারসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য সকল শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, মোঃ হুমায়ূন কবির ছিলেন একজন সৎ, আদর্শবান কর্মদক্ষ শিক্ষক। তিনি শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত ¯েœহভরে সন্তানের মতো পাঠদান করাতেন। শুধু তাই নয়, একজন ভালো মনের মানুষ হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন। একজন ভালো মানুষ কখনো হারিয়ে যায় না। আমরা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
এসময় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নির্মাণাধীন নতুন ভবনটির নামকরণ মরহুম হুমায়ূন কবিরের নামে করার জন্যে জোর দাবি করা হয়। তাদের দাবির সাথে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, ম্যানিজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও একাত্বতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, মোঃ হুমায়ূন কবির ২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় নিজ স্কুলে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। মুত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৪০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যাসহ বহু শিক্ষার্থী, সুহৃদ ও স্বজন রেখে গেছেন। তাঁকে নিজ বাড়ি পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। একজন সৎ, আদর্শবান এবং কর্মদক্ষ শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়সহ পুরো জেলায় তিনি সুপরিচিত ছিলেন।
২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার একইদিনে মোঃ হুমায়ূন কবিরের নিজবাড়ি বাংলাবাজারের পশ্চিম ভিঙুগুলিয়ায় গ্রামে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও এলাকার প্রতিটি মসজিদে মিলাদ ও দোয়া করা হয়।