আইনগত ভিত্তি পেলেই ইভিএম ব্যবহার : সিইসি
আইনগত ভিত্তি পেলেই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
আজ শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও ইভিএম ব্যবহারবিষয়ক এক কর্মশালার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আইনগত ভিত্তি পেলে আগামী একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে ব্যবহারের আগে সেটি ত্রুটিমুক্ত কিনা, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ইভিএম চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ থাকবে, প্রশ্ন থাকবে। আমরা ভোটারদের মধ্যে সেগুলো দূর করার চেষ্টা করব। ইভিএমে কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।’
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারের জন্য এখনো আইনি স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। স্বীকৃতি পেলেই এটি ব্যবহার করা হবে। এ যন্ত্র ব্যবহার করলে ভোটগ্রহণ সহজ হবে, কষ্ট কমে যাবে, ভোট গণনা সহজ হবে এবং ভোট কারচুপি হবে না।’
রাজনৈতিক দলের নেতাদের আগে ইভিএম সম্পর্কে ভালোভাবে জানার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জানার পর মন্তব্য করলে ভালো হয়। আমাদের অবশ্যই আধুনিক প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হতে হবে। নির্বাচনের ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার জন্য এ কর্মশালা। দক্ষতা অর্জন করে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে হবে।
২০১৮ সালের শেষে অথবা ২০১৯ সালের শুরুতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার উল্লেখ করেন।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ মোখলেসুর রহমান। কর্মশালায় ৫০ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।