• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি ঘর নিয়ে একটু মাথা গুজার আশ্রয় চান বিধবা পেয়ারা বেগম

প্রকাশ:  ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি ঘর পাওয়ার আশা নিয়ে একটু মাথা গুজার আশ্রয় চান অসহায় বিধবা পেয়ারা বেগম (৬০)। যে কিনা দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে স্বামী হারা হয়ে আশ্রয়হীন জীবন যাপন করছে। 

জানাযায়,  চাঁদপুর শহরের মৃত রশিদ গাজীর স্ত্রী পেয়ারা বেগম। প্রায় ২৫ বছর আগে তার স্বামী কোন এক কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তারপর থেকেই পেয়ারা বেগম অসহায় হয়ে পড়েন। কোন রকম দু,বেলা খাবার জুটলেও রাতে ঘুমানের জন্য এক টুকরো ভিটে মাটি নেই। 
পেয়ারা বেগম জানায়, একসময় তিনি স্বামী সন্তান নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার সাহেব বাজার এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানে তাদের বাড়ি ঘর নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার পর থেকে শহরের নিশি বিল্ডিং জামতলা এলাকায় ভাড়া থেকে আসছেন। সংসার চালানোর মতো তেমন কেউ না থাকায় প্রতিমাসে সে ঘর ভাড়া দিতেও তাকে অনেক হিসসিম খেতে হয়। এমন অসহায়ত্বের মধ্য দিয় একসময় ঠাই নেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর বাসায়। গত কয়েক বছর ধরে পেয়ারা বেগম তার বাসাতেই আশ্রয় নিয়েছেন। 
পেয়ারা বেগম বড় আক্ষেপ করে বলেন, চিকিৎসক বা,জানের বাসায় খাওয়া দাওয়া করে ভালো ভাবে চললেও স্থায়ী ভাবে একটু মাথা গুজার জন্য সরকারি কোন আশ্রয়ন প্রকল্পে একটু ঘর পাওয়ার আশা নিয়ে আছেন তিনি। কারন তাকে কেউ সহযোগিতা করার মতো কেউ না থাকায় আশ্রয়ন প্রকল্পে যাতে একটি ঘর পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন সেজন্য তিনি  স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ  চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কমনা করছেন। 
 
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়হীনদের জন্য দেশের বিভিন্নস্থানে আশ্রয়ন প্রকল্প চালু করলেও প্রকৃত পক্ষে অনেক আশ্রয়হীন মানুষ সরকারের দেয়া সে সুবিদা ভোগ করতে পারছেনা। দেখা গেছে চাঁদপুরেও বেশ ক,টি আশ্রয়ন প্রকল্প রয়েছে।  কিন্তু খোজ নিয়ে জানাযায় অনেক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আশ্রয়ন প্রকল্পের সে ঘর বিক্রি অথবা টাকার বিনিময়ে সুবিদাবাদীরাই ভোগ করছেন অথবা ঘর নিয়ে সেগুলো ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে ভাড়া গুনছেন ওইসব সিন্ডিকেটরা। এসব সিন্ডিকেটের হাত থেকে হলেও আশ্রয়ন প্রকল্পের  কোন একটি ঘর যাতে অসহায় বিধবা পেয়ারা বেগমের ভাগ্যে জুটে,  তিনি যেনো স্থায়ীভাবে  মাথা গুজার আশ্রয় নিতে পারেন সেজন্য প্রশাসনের একান্ত সহযোগিতা ও দৃষ্টি কামনা করছেন।