সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ‘স্কুল অব হিউম্যানিটি’র এক শিক্ষকের অনুভূতি
‘ওদের পড়ানোর মধ্যে যে কী এক অসাধারণ ভালোলাগা কাজ করে, সেটি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। ছোটবেলায় পড়েছি ‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা, সব শিশুরই অন্তরে’। এদের মাঝেও যে অসাধারণ প্রতিভা লুকিয়ে আছে সেটি বুঝতে পেরে খুব বেশি অবাক লাগে। আর সেটি ওদের সাথে না মিশলে হয়তো বুঝতামই না। এই অসাধারণ প্রতিভাগুলো ঝরে পড়ছে শুধুমাত্র একটু হাত-বাড়ানোর অভাবে। যদি সমাজের উচ্চবিত্তরা এদের দিকে একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে এরাই একসময় হয়ে উঠবে ভবিষ্যত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডিসি, এসপি, শিক্ষক কি দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ।
এ শিশুদের মধ্য থেকে বৃষ্টি যখন সামিয়ার কানে কানে বললো, ‘স্যার অনেক ভালো’ আর সবাই যখন বললো, ‘আমরা এই স্যারের কাছেই সব বিষয় পড়বো’ তখন ওদের ভালোবাসা দেখে সত্যি প্রাণটা ভরে ওঠলো।
ওদের জন্যে সবাই দোয়া করবেন যাতে ওরা ভবিষ্যতে মানুষের মতো মানুষ হয়ে আদর্শ জাতি গঠনে, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে।
লেখাটির উদ্দেশ্য : আপনার এলাকায়ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে এগিয়ে আসুন।’
চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের এভাবেই অক্ষরজ্ঞানসহ প্রাথমিক পাঠদান দিয়ে যাচ্ছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজসহ শহরের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাদের একজন হচ্ছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র মোঃ সালাউদ্দিন। সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের নিয়ে এবং তাদের শিক্ষা দিতে পারার অনুভূতিকে তিনি এভাবেই প্রকাশ করলেন। তারা এ বিদ্যালয়ের নামটি দিয়েছেন ‘স্কুল অব হিউম্যানিটি’। আপাতত তারা প্রতি শুক্রবার এদের এই স্বেচ্ছায় শিক্ষাদান কার্যক্রমটি করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে সময় আরো বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে তাদের-এমনটাই জানালেন সালাউদ্দিন।