• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

দৈয়ারা দাখিল মাদ্রাসাটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরসহ সমস্যায় জর্জরিত

প্রকাশ:  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

শাহরাস্তির দৈয়ারা ডিএসএমএনআই দাখিল মাদ্রাসাটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে পাঠদানসহ  নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৯৭৭ সালের ১ জানুয়ারি মাওলানা মোঃ হোসাইন মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার আট বছর পর গত ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি মাদ্রাসাটি দাখিল মাদ্রাসা হিসাবে স্বীকৃতি পায়। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠায় যারা ভূমি দান করেছেন তারা হলেন : মোঃ আবু সামা মিয়া, আব্দুল কাদের পাটওয়ারী গং, মোঃ ইউনুছ মিয়া এমএসসি ও ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান। সব মিলে জমির পরিমাণ ১.২২ একর। বর্তমান সময়ে শিক্ষকের সংখ্যা ১১জন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী মোট ৩ জন। শিক্ষক সংকট বিদ্যমান থাকায় এনটিআরসিএর মাধ্যমে ৩ জন শিক্ষকের চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। কিন্ত কাজের কাজ কিছু হয়নি।
    বিগত পাঁচ বছরে এবতেদায়ী, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় মাদ্রাসাটির ফলাফল সন্তোষজনক। মাদ্রাসাটিতে ছাত্র-ছাত্রীর পরিমাণ প্রায় ৪০০। ছোট-বড় সাতটি টিনের ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেয়া হয়। বর্ষার সময় টিনের ঘরে বৃষ্টিতে প্রায় সব জায়গায়ই পানি পড়ে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের বই-খাতাসহ নিজেরাই ভিজে যায়। এদিকে আসবাবপত্রের চরম অভাবের কারণে প্রতিটি টেবিলে ঠাসাঠাসিভাবে বসতে গিয়ে লেখার কোনো জায়গা থাকে না। এভাবে সঠিক পাঠদান ব্যাহত হয়।
    মাদ্রাসাটি এ যাবৎ কোনো সরকারি ভবন পায়নি। গত ২৪ জুন ২০১৪ খ্রিঃ তারিখে স্থানীয় সংসদ স্যদস্য, মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, পরিকল্পনা সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মাদ্রাসাটিতে ভবন নির্মাণের জন্যে একটি ডিও লেটার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দিয়েছেন। তাঁর ডিও লেটারে উল্লেখিত বিস্তারিত বর্ণনায় সকল অসুবিধার কথা কথা উল্লেখ ছিল। মাদ্রাসা সুপার এএনএম আব্দুর রহমান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত চার বছর পূর্বের অবস্থা থেকে মাদ্রাসাটি আরো করুণ অবস্থায় পৌঁছেছে। মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে জরুরি ভিত্তিতে একটি ফ্যাসিলিটিজের ভবন পাওয়া দরকার। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পুনরায় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ