• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শিক্ষকের সামর্থ্যরে সবটুকু শ্রেণিকক্ষে দিতে পারলেই শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটবে : কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন ভূঁইয়া

নিজ সন্তান ও অপরের সন্তানের মধ্যে পার্থক্য রাখলে শিক্ষক কখনই পরিপূর্ণ পাঠদান করাতে পারেন না : জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান

প্রকাশ:  ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 ‘শিক্ষক সমাজ যতদিন না মন থেকে চাইবেন, ততদিন শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণ সম্ভব নয়। শিক্ষা দানের সামর্থ্য আছে বলেই আপনাদের নাম শিক্ষক। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে সে সামর্থ্য অনেকেই শতভাগ কাজে লাগান না বা লাগাতে চান না। প্রত্যেক শিক্ষকের যতোটুকু সামর্থ্য আছে তার সবটুকু শ্রেণিকক্ষে দিতে পারলেই শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটবে’। কথাগুলো বললেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ রহুল আমিন ভূঁইয়া। তিনি আরো বলেন, আপনারা শিক্ষকরা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের মালিক, আমি সে বোর্ডের একজন খাদেম। আমাদের বোর্ডের যতোজন কর্মকর্তা আছেন তারা সবাইই আপনাদের খাদেম। আমি তার মধ্যে সবচেয়ে বড় খাদেম। আপনাদের খেদমত করার জন্যই সরকার আমাকে নিয়োগ দিয়েছে। যার যখন যে খেদমতের প্রয়োজন আমার কাছে চলে আসবেন। শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে যার যতটুকু খেদমত করা দরকার তার সবটুকুই করবো। গতকাল সোমবার চাঁদপুর জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
    চাঁদপুর গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিদর্শক মোঃ কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় শুরুতে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতকরণ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ আজহারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, একজন শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে গিয়ে যখনই নিজের সন্তান আর অপরের সন্তানের মধ্যে বৈষম্য রাখেন, তখনই শিক্ষা তার পূর্ণতা পায় না। শ্রেণি কক্ষে প্রতিটি সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো ভাবতে হবে। তাদের কাছে যেতে হবে। তাহলেই গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ সম্ভব।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফি উদ্দিন ও মতলব দক্ষিণ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহিম। জেলার সকল উপজেলার একজন করে শিক্ষক প্রতিনিধি তাদের পাঠদানের সীমাবদ্ধতার কথাগুলো তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন। বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা রতœা রাণী সরকার, ফরিদগঞ্জের পূর্ব বড়ালী শাহজাহান কবির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেছার আহমেদ, হাজীগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আকবর হোসেন, মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মনির হোসেন, শাহরাস্তি উঘারিয়া ইউএস উচ্চ বিদ্যালয়ের মোঃ সাইফুল ইসলাম, হাইমচর বাজাপ্তি রমণী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিকদার আব্দুল মান্নান, কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মোঃ মনির খান এবং মতলব উত্তর উপজেলার ছেঙ্গারচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আয়াত হোসেন। সবশেষে সমাপনী বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মাঈনুল ইসলাম।
    অনুষ্ঠানে হাসান আলী সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ও গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিনসহ সকল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ

সর্বাধিক পঠিত