• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রাচীন এ মসজিদটি ঘিরে রামপুরে পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে : ডাঃ দীপু মনি এমপি

প্রকাশ:  ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩১ | আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

‘চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের ছোটসুন্দর গ্রামে তালুকদার বাড়ির পাশে ঘন ঝোপঝাড়ের মধ্যে খুঁজে পাওয়া গেছে এক গম্বুজ বিশিষ্ট ছোট্ট একটি প্রাচীন মসজিদ। চারদিক থেকে মানুষ আসছেন মসজিদটি দেখতে। ইতোমধ্যেই প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর থেকে কর্মকর্তারা এসে মসজিদটির ছবি তুলে নানা মাপজোখ করে নিয়ে গেছেন। আশা করছি প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর এ স্থাপনাটিকে তাদের তালিকাভুক্ত করে সংরক্ষণের কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসবেন এবং এ স্থাপনাটিকে ঘিরে রামপুর ইউনিয়নে গড়ে উঠবে পর্যটন কেন্দ্র।’ কথাগুলো বললেন চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি। তিনি গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে ওই মসজিদটি পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।
    তিনি আরো বলেন, প্রায় বছর চারেক আগে কোনো একটি বইয়ে পড়েছিলাম যে রামপুর ইউনিয়নে এ ধরনের একটি প্রাচীন মসজিদ রয়েছে। সে সময় থেকেই খোঁজ করছিলাম। এক সময় শুনলাম এমন কিছু একটি ছিলো বটে, তবে সেটিকে নাকি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। খুব মন খারাপ লেগেছিল। তবুও আবার কিছুদিন আগে কয়েকবার রামপুর ইউপির আমাদের তরুণ চেয়ারম্যান মামুনকে অনুরোধ করেছিলাম খুঁজে দেখতে।
    কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই মামুন এসে খবর দিলো, সে শুনেছে ছোটসুন্দর গ্রামের তালুকদার বাড়ির পাশে ঘন ঝোপঝাড়ের মধ্যে একটি স্থাপনা আছে। সাথেসাথেই অনুরোধ করলাম সাবধানে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে স্থাপনাটিকে দৃশ্যমান করা যায় কিনা দেখতে। মামুন লোকজন নিয়ে খুব যতœ সহকারে কাজটি করে ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে আমাকে পাঠায়। আমিতো মুগ্ধ! ছোট্ট, ইট সুরকীর তৈরি মসজিদটির গম্বুজটির চূড়োর অংশটি ভেঙ্গে গিয়ে বড় একটি ফুটো হয়ে গেছে। সম্ভবতঃ যে বিশাল গাছটি মসজিদের গম্বুজের ওপরে চেপে বসে ডালপালা শেকড় দিয়ে সেটিকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে পুরো স্থাপনাটিকেই সম্পূর্ণ ঢেকে দিয়েছিল, সে গাছটির কারণেই গম্বুজের চূড়োটি ভেঙ্গে পড়ে। মসজিদটির ভেতরে মিম্বার, কোরান শরীফ রাখবার স্থান ও সামনের দু’কোণায় দু’টি মিনারের ভাঙ্গা অংশ আছে। মসজিদটির পেছনে সাতটি কবরের অবস্থানও পাওয়া গেছে, যেগুলোর দৈর্ঘ্য সাধারণ কবরের তুলনায় বেশি।
    তিনি আরো বলেন, মনে হচ্ছে মসজিদটির কিছুটা অংশ মাটির নীচে আছে। আর জায়গাটা ছোট্ট একটা ঢিবির মতো থাকায় মনে হচ্ছে হয়তোবা দৃশ্যমান অংশটুকুই পুরো মসজিদ না হয়ে এটি মাটির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া বড় মসজিদের উপরের অংশও হতে পারে। মসজিদটি সুলতানি আমলের, এরকম মতামত কেউ কেউ প্রকাশ করেছেন। প্রতœতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও গবেষণার মধ্য দিয়ে হয়তো সব প্রশ্নেরই উত্তর মিলবে একদিন। আপাততঃ এরকম একটি স্থাপনা আমাদের এলাকায় পাওয়া গেছে তাতেই আমরা দারুণ আনন্দিত এবং এ স্থাপনাটির যথাযথ সংরক্ষণ ও এটিকে ঘিরে পর্যটনের সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছি আমরা। এ স্থাপনার ইতিহাস উদ্ঘাটনের মধ্য দিয়ে আমরা এ অঞ্চলের অতীত ইতিহাস জানবার জন্যও অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম।