• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে সুলতানী আমলের মসজিদ পরিদর্শন করলেন প্রতœতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দল

প্রকাশ:  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:৪১ | আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোট সুন্দর গ্রামে জঙ্গল পরিষ্কার করে উদ্ধার হওয়া সুলতানি আমলের প্রাচীন মসজিদটি অবশেষে পরিদর্শন করলেন প্রতœতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। গতকাল ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১১টায় প্রতœতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের পরিচালক রাখি রায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত চক্রবর্ত্তী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা সুলতানা খান হীরামনিসহ প্রতিনিধি দল মসজিদটির ভেতর বাইরে পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা মসজিদটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, আকৃতি মেপে নির্ণয় করেন এবং এর দেয়াল প্রাচীর ও গম্বুজ-মিম্বর এসব পরীক্ষা করে দেখেন। এ সময় প্রতিনিধি দলের প্রধান রাখি রায় বলেন, এ প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত করার জন্যে প্রশাসনিক সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যে যে ব্যবস্থা নেয়ার কথা আমরা তা করার সর্বাতœক চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, এই মসজিদটি সুলতানী আমলের। এটা আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে নিশ্চিত হতে পেরেছি। এখন এটি ঐ এলাকার অধিবাসী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনির পরামর্শ নিয়ে এবং এলাকাবাসী ও ঐতিহ্যকে লালন করা বাঁচিয়ে রাখতে আমরা এটিকে প্রতœতাত্ত্বিক একটি নিদর্শন হিসেবে রাষ্ট্রপতির আদেশের জন্য খুব শীঘ্রই গেজেটভুক্ত করার আবেদন করবো। আমাদের অধিদপ্তর থেকে মসজিদটিকে নিয়ে আরো কর্মকা- চালানো হবে। আমরা চাই এই মসজিদটি প্রাচীন ঐতিহ্য হিসেবে চাঁদপুরের জন্য গর্ব করার মত পর্যায়ে দাঁড়িয়ে থাকুক। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সর্বাতœক সহযোগিতাও কামনা করেন। উপস্থিত ছিলেন রামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আল মামুন পাটোয়ারী, প্রতœতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মাহবুব উল আলম, সিনিয়র ড্রাপস ম্যান তৃপ্তি রানী হালদার, ফিল্ড অফিসার তানিয়া সুলতানা, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রূপক রায় এবং জঙ্গল পরিষ্কারে সহায়তাকরী বৃদ্ধ ব্যক্তি আজিজ তালুকদার প্রমুখ। উল্লেখ্য গত সপ্তাহে জঙ্গল পরিষ্কার করে সুলতানী আমলের এই মসজিদটি পুরো দমে বের করে আনা হয়। এই সংবাদ সোস্যাল মিডিয়াসহ সর্বত্র প্রকাশ হলে পরদিনই ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শওকত ওসমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমাসহ স্থানীয় প্রশাসন মসজিদটি দেখার জন্য ছুটে যান এবং এটিকে  সাময়িক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়ে আসেন। তারপর থেকেই সেই মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই সকাল বিকাল শত শত মানুষ ভীর জমাচ্ছে। দর্শনার্থীদেরও দাবি এই প্রাচীন মসজিদটি রক্ষা এবং সংস্কারে সরকার দ্রুত এগিয়ে আসবে এবং পদক্ষেপ নিবে।

সর্বাধিক পঠিত