বাকিলায় খাবার হোটেলসহ বিভিন্ন দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা
হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারে খাবার হোটেল ও ফলের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে গতকাল বৃহস্পতিবার এই আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বৈশাখী বড়–য়া।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বাজারের হোটেল তাজে অভিযান পরিচালনাকালে হোটেলের পেছনে পচা বাসি খাবার পায় আদালত। এ সময় হোটেলের ফ্রিজে পূর্বের দিনের বেশ কয়েকটি গ্রিলকরা মুরগী আর গন্ধ হয়ে যাওয়া হালিম ফেলে দেয় আদালত। ফ্রিজে কাঁচা মাংস আর মাছের সাথে দধি রাখার কারণে প্রাথমিক সতর্কতা এবং সামনে বসানো চুলা আগামী ১ মাসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এ সকল অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এর বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী তাজ হোটেলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই আদালত কয়েকটি ফলের দোকানে ভারী কাগজ দিয়ে তৈরি প্যাকেট পাওয়ায় এবং ফল ওজনে কম দেয়ার অপরাধে ৩ হাজার টাকা করে দুটি দোকানকে মোট ৬ হাজার টাকাসহ মোট ১১ হাজার টাকা অর্থদ- দেয়। এ সময় সড়কের পাশ থেকে দোকান সরিয়ে দেবার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সময় বেঁধে দেয় আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মাইন উদ্দিন আহমেদ, বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউছুফ পাটওয়ারী, বাকিলাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অমল ধর, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটওয়ারী জানান, আদালত সড়কের পাশে বসা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও টং দোকানগুলোকে সরিয়ে নেয়ার জন্যে প্রাথমিকভাবে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমি আদালতের নির্দেশে ব্যবসায়ীদেরকে বলে দিয়েছি আগামী ১ মাসের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে ব্যবসায়ীগণ তাদের নিজেদের উদ্যোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়ার জন্য।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বৈশাখী বড়–য়া বলেন, কোন হোটেল এতোটা নোংরা পরিবেশে পচা আর বাসি খাবার বিক্রি করতে পারে এটা আমাদের জানা ছিলো না। ফের ঐ হোটেলে এই অবস্থা বিরাজমান থাকলে তা সিলগালা করে দেয়া হবে।