• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

৯০ বছরেও বয়স্ক ভাতা মেলেনি চাঁদপুরের বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমের

প্রকাশ:  ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

নব্বই বছর বয়সেও বয়স্ক ভাতা জোটেনি চাঁদপুর শহরের অসহায় বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমের। একই ভুক্তভোগী তার স্বামী ১শ বছর বয়সী বৃদ্ধ শামসু খন্দকারের বেলায়ও। 

জানাযায়, স্বাধীনতার পর থেকে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় নদীর পাড়ে মনোয়ারা বেগমের বসবাস। তার দু,জন ছেলো সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে তার বড় ছেলে তাদের কাছে থেকে অন্যস্থানে থাকেন। তাই বৃদ্ধ বাবা মায়ের কোন খাওন খোরাক দেয়া হয়নি। আর ছোট ছেলে মহসিন একজন মানসিক রোগী।  তাই অসহায় মনোয়ারা বেগম অকর্ম বৃদ্ধ স্বামীকে নিয়ে মানুষের কাছ থেকে যান পান তা দিয়েই কোন রকম দিন পার করছেন। 
কিন্তু বর্তমান সরকার সারাদেশে এসব অসহায় বয়স্কেদর জন্য বয়স্ক ভাতা প্রদান করলেও প্রকৃত বয়স্কদের কপালে জুটছে না সেসব বয়স্ক ভাতা। সরকারের দেয়া এমন বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত মনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী শামসল খন্দকার। 
 
বৃহস্পতিবার  (৩০ আগস্ট)  বিকেলে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায়, নব্বই বছর বয়সী এই বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমকে  একটি পাত্র নিয়ে মানুষের কাছ থেকে চাল এবং টাকা পয়সা উঠাতে দেখাযায়। তিনি জানান, তার মানসিক ছেলে মহসিনের কথায় সে খোয়াজ খিজিরের নামে মিলাদ পড়ানোর জন্য মানুষের কাছ থেকে এসব সাহায্য উঠাচ্ছেন। 
নব্বই বছর বয়সী এ বৃদ্ধাকে দেখে জানতে চাওয়া হয় তিনি কোন বয়স্ক ভাতা পান কিনা। মনোয়ারা বেগম জানান, এত বছর বয়সেও তিনি আজো পর্যন্ত কোন বয়স্ক ভাতা পাননি। এমন কি সরকারি ভাবে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা থেকেও বঞ্চিত এই অসহায় বৃদ্ধার পরিবার। তাই জীবনের এমন শেষ প্রান্তে এসেও যেনো অসহায় বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী শামসল খন্দকার যেনো সরকারের দেয়া বয়স্ক ভাতার সুবিদা ভোগ করতে পারেন,  সেজন্য চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। 
 
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহআলম বেপারী জানান, মনোয়ারা বেগমের বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। বয়স্ক ভাতার জন্য তিনি কখনো আমার কাছে আসেনি। যদি আসতো তাহলে ব্যবস্থা করে দিতাম। তিনি আরো জানান, এখন যখন জেনেছি তিনি আমার কাছে আসলে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবো।