• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রামপুরে প্রায় ৫শ’ বছর পূর্বে নির্মিত মসজিদ দৃশ্যমান

ডাঃ দীপু মনির তথ্যমতে এবং নির্দেশনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মসজিদটির অবস্থান জানান দিলেন

প্রকাশ:  ৩১ আগস্ট ২০১৮, ০১:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের ছোটসুন্দর গ্রামের তালুকদার বাড়ির সম্মুখভাগে প্রায় ৫শ’ বছর পূর্বের (ধারণা মতে) সুলতানি আমলে নির্মিত ১ গম্বুজবিশিষ্ট একটি মসজিদের পুনঃসন্ধান পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রামপুর ইউনিয়নের কৃতী সন্তান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ডাঃ দীপু মনির তথ্যমতে এবং তাঁর নির্দেশনায় উক্ত মসজিদটি দৃশ্যমান করার জন্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেন ৫নং রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন পাটওয়ারী। পরবর্তীতে তিনি সশরীরে ঐতিহাসিক এ মসজিদটি অবলোকন করেন এবং মসজিদটির ভেতরে প্রবেশ করেন। তিনি জানান, মসজিদটি ১ গম্বুজবিশিষ্ট এবং চিরাচরিতভাবে পূর্বমুখী অবস্থায় আছে। মসজিদটির দেয়ালঘেঁষে চারপাশে ৪টি ছোট মিম্বার রয়েছে, বাইরের দৈর্ঘ্য (উত্তর-দক্ষিণ) মিম্বারসহ ১৬ ফুট এবং বাইরের প্রস্থ (পূর্ব-পশ্চিম) ১৫ ফুট। মসজিদটির ভেতরের দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ১০ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি। মসজিদটিতে ১টি মেহরাব রয়েছে এবং দেয়ালে ছোট ছোট কয়েকটি খোঁপ রয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে, পুরো মসজিদটি পোড়া ইট, বালু, চুনা এবং সুরকি দিয়ে নির্মিত হয়েছে।
    চেয়ারম্যান মামুন জানান, আমাদের এমপি মহোদয় ডাঃ দীপু মনি আমাকে ৬/৭ মাস পূর্বে বললেন, রামপুরে ৫/৬শ’ বছরের পুরানো একটি মসজিদ আছে। তিনি কোনো এক বইয়ে এ তথ্য পেয়েছেন। মসজিদটির অবস্থান নির্ণয় করতে তিনি আমাকে নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশনায় আমি এর অবস্থান খুঁজতে থাকি। অনেকদিন পর জানতে পারি, আমার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের পাশ দিয়ে যে রাস্তা গেছে, এ রাস্তা দিয়ে একটু সামনে এগুলে তালুকদার বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে এ মসজিদটির অবস্থান। তাও এটি মসজিদ কিনা তখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মামুন জানান, পুরো মসজিদটি গাছ, লতাপাতা ও জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায়। তাছাড়া মসজিদটির উপর একটি ঝির গাছ (স্থানীয় ভাষায়) উঠে পুরো মসজিদটি ঢেকে ফেলে। অনেকদিন আগে স্থানীয়রা এই ঝির গাছটি কেটে প্রায় ১২/১৩ মণ লাকড়ী পায়। মূলত এ গাছটি কাটার পরই এখানে যে বহু পুরানো মসজিদ বা মঠ জাতীয় কিছু একটা আছে তা অনেকটা স্পষ্ট হয়। চেয়ারম্যান মামুন জানান, আমাদের এমপি মহোদয় ঈদের পর গত ২৫ আগস্ট যখন এলাকায় আসেন তখন তিনি আমাকে আবারো পুরানো ওই মসজিদটির অবস্থান বের করতে বলেন। এমপি মহোদয়ের এমন জোর আগ্রহ এবং ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে আর দেরি না করে আমি পরদিন ২৬ আগস্ট চারজন লোক নিয়ে এটি পরিষ্কার করি। তখন মসজিদটির চিত্র পুরোপুরি ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, পরিষ্কার করার পর আমি নিজে মসজিদের ভেতরে ঢুকে দেখি এবং এর গঠন কাঠামো আমার কাছে পরিষ্কার হয়।
    চেয়ারম্যান মামুন বলেন, এ বিষয়টি আমি সেদিনই (২৬ আগস্ট) আমাদের এমপি মহোদয়কে অবহিত করি। তিনি সেদিনই চাঁদপুর শহরের কর্মসূচি শেষ করে রামপুরে আসেন। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তিনি আর মসজিদটি দেখতে যাননি। তবে তাঁর পরামর্শে আমি ঢাকা প্রতœতত্ত্ব বিভাগে যোগাযোগ করি। এই বিভাগের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত পরিচালক রাখী রায় বিস্তারিত সব শুনে এবং ছবি দেখে এ মসজিদটি ৫শ’ বছরেরও পূর্বের সুলতানি আমলে নির্মিত মসজিদ বলে মন্তব্য করেন। চেয়ারম্যান মামুন বলেন, এরূপ ঐতিহাসিক একটি মসজিদ রামপুর ইউনিয়নে রয়েছে বিধায় আমরা রামপুর ইউনিয়নবাসী সত্যিই অনেক গর্বিত। আমি আশা করি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর উক্ত মসজিদটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে তা সংরক্ষণ এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন

সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ

সর্বাধিক পঠিত