চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খানের বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি
চাঁদপুর কমিউনিটি পুলিশিং অঞ্চল-৬-এর সভাপতি ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খানের বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুদী ব্যাংক কলোনী আবাসিক এলাকাস্থ শিরিন কটেজে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, ৭ জন ডাকাতের মুখোশ পরিহিত একটি দল ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেনের (শিরিন কটেজ) বাসার জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। তবে গ্রিল কাটার ধরন দেখে বুঝা গেছে যে, ওই জায়গা দিয়ে তারা কোনো বাচ্চা বয়সী ছেলেকে ঢুকিয়ে পরে তারা ভেতরে ঢুকেছে। ঘরে ঢুকেই তারা অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খান, তার স্ত্রী, বড় ছেলে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফেরদাউস খান এবং তার স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর ডাকাতরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে স্টিলের আলমারীতে রক্ষিত নগদ ৯০ হাজার টাকা, ৬টি দামী মোবাইল সেট, সোনার ২টি রুলিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
ব্যাংক কলোনীর বাসিন্দা মোঃ মফিজুল ইসলাম মিয়াজী জানান, ডাকাতির ঘটনার পর (ভোর ৪টা) মোহাম্মদ হোসেন স্যারের ডাকচিৎকারে আমরা আশপাশের মানুষ এসে তাদের উদ্ধার করি। আমরা এসে দেখি তাদের হাত-পা বাঁধা। ঘরের মালামাল, আসবাবপত্র সব তছনছ অবস্থায়।
চাঁদপুর সদর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বলেন, আমি খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করি। এরপর ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমানসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তাগণ।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ অলি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাদের পুলিশের ক’টি টিম এ ব্যাপারে কাজ করছে। আশা করছি আমরা অচিরেই দুর্বৃত্তদের আটক করতে সক্ষম হবো। এ ঘটনায় অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খান একটি অভিযোগ করেছেন। সে সুবাদে তদন্তের স্বার্থে ওই মহল্লার টহল সদস্য জিলন গাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খান চাঁদপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং চাঁদপুর কমিউনিটি পুলিশিং অঞ্চল-৬-এর সভাপতি। তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তারও গণমাধ্যমকর্মী এবং শিক্ষক।
এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে জানান, এই ব্যাংক কলোনী এলাকায় ইতিপূর্বে এ ধরনের ৭/৮টি ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোনো ঘটনারই রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় এবং চিহ্নিত কেউ আটক না হওয়ায় কিছুদিন পরপরই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্র এবং স্থানীয় কোনা না কোনো দুষ্কৃতকারী জড়িত থাকতে পারে।