• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর ঘাটে যাত্রীদের না নামিয়ে ঢাকায় যাত্রা ॥ দফায় দফায় সংঘর্ষ

লঞ্চ ভাংচুর ॥ আটক ৩

প্রকাশ:  ২৮ আগস্ট ২০১৮, ০৯:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 শরীয়তপুরের ঈদগা ফেরিঘাট থেকে ছেড়ে আসা এমভি ময়ুর-২ লঞ্চটি চাঁদপুরের যাত্রীদের চাঁদপুর ঘাটে না নামিয়ে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করায় লঞ্চে থাকা চাঁদপুরের যাত্রীদের (চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র) সাথে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও স্টাফদের প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক যাত্রী জানিয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০জন যাত্রী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় উত্তেজিত যাত্রী ও ছাত্ররা লঞ্চের ভেতরে কাউন্টারের সামনের গ্লাস, দরজা, জানালা ও সামনের লাইটসহ লঞ্চে ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং লঞ্চের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। পুলিশ ও কোস্টগার্ড ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ যুবককে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাত সোয়া ১১টায় চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালের সন্নিকটে মেঘনা নদীতে। খবর পেয়ে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা অন্য লঞ্চের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এদিকে পরে লঞ্চটি ঘাটে ভিড়ানোর পর আরেক দফা দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, এ লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাট ধরার নিয়ম রয়েছে।
    চাঁদপুরে ঈদের ৬দিন পরও ধারণ ক্ষমতার ৩/৪ গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করছে। এতে করে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাত্রীদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিটি লঞ্চ তাদের ৮/৯শ’ যাত্রীর ধারণ ক্ষমতা থাকলেও তারা ৩/৪ গুণ বেশি যাত্রী অর্থাৎ আড়াই হাজার হতে ৩ হাজার পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর কোস্টগার্ডের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোঃ মাইনুল ইসলামসহ কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
    এদিকে রোববার রাতে এমভি ময়ুর-৭ লঞ্চটি ১২টা ১৫ মিনিটে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে সোয়া এক ঘণ্টা আগে রাত ১১টায় চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল ত্যাগ করে। তখনও ময়ূর-৭ লঞ্চটিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি যাত্রী ছিলো।
    ময়ূর-২ লঞ্চে সংঘর্ষের ঘটনায় নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড চাঁদপুরের স্টেশন কমান্ডার লে: এম এনায়েত উল্লাহ্ নেতৃত্বে ৩ যুবককে আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে মোঃ রায়হান (২০), মেহেদী হাসান (২০) ও হৃদয় হোসেন (২০)। এদের বাড়ি শরীয়তপুর ও গাজীপুর এলাকায়।
          এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড চাঁদপুরের স্টেশন কমান্ডার লে: এম এনায়েত উল্লাহ্  জানান, লঞ্চে সংঘর্ষের ঘটনা শুনে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে সঠিক সময়ে না পৌঁছলে গণপিটুনীতে আটক ৩ যুবক মারা যাওয়ার আশঙ্কা ছিলো। নৌ থানার এস আই শিকদার মোঃ হাছানুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় লঞ্চের ক্ষতির জন্যে তারা অভিযোগ দিয়েছে। আটক ক্ষতিগ্রস্তদেরও অভিযোগ দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তারা অভিযোগ দিলে আমরা সেটিও গ্রহণ করবো।