অর্থের বিনিময়ে সিরিয়াল ভেঙ্গে গ্যাস প্রদান
মঠখোলা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের পাশে স্কুটার চালকের উপর হামলা
চাঁদপুর শহরের মঠখোলা গ্যাস পাম্পের পাশে হুমায়ূন খান (৪৮) নামে এক সিএনজি স্কুটার চালককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৬ আগস্ট রোববার ভোর সাড়ে ৬টার সময় মঠখোলা সেট্কো সিএনজি ফিলিং স্টেশনের পূর্বপাশের্^ সন্ত্রাসী হামলার এ ঘটনা ঘটে। গ্যাসের সিরিয়াল নেয়াকে কেন্দ্র করে বহিরাগত কিছু লোকের সাথে বাগ্বিত-ার এক পর্যায়ে ওই স্কুটার চালকের উপর হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। পরে অন্যান্য চালকরা আহত হুমায়ূন খানকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। হুমায়ূন খান শাহমামুদপুর ইউনিয়নের পূর্ব লোধেরগাঁও কলোনীর বাসিন্দা এবং চাঁদপুর-থ-১১-৫০৬০-নং সিএনজি স্কুটারের চালক।
এ ব্যাপারে আহত চালক হুমায়ূন খান জানান, রাত ২টা থেকে আমরা গ্যাস নেয়ার জন্যে সিরিয়াল দিয়ে আসছি, কিন্তু কিছু বহিরাগত লোক টাকার বিনিময়ে আমাদের সিরিয়াল ভেঙ্গে অন্যদের গ্যাস নিতে আগে ঢুকিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে। এই নিয়ে আমরা ক’জন স্কুটার চালক প্রতিবাদ করলে তারা আমার উপর হামলা চালায়। এদিকে আহত হুমায়ূন খানের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে স্কুটার চালকরা ক্ষিপ্ত হয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে জেলা সিএনজি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা হাসপাতালে গিয়ে আহত চালকের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং আর্থিক সাহায্যের আশ^াস প্রদান করেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় কিছু যুবক, সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ও পুলিশ সদস্যরা তাদের নিজেদের পরিচিত, আত্মীয়-স্বজন ও নিজেদের গাড়ি বলে সিরিয়ালবিহীনভাবে অর্থের বিনিময়ে সিএনজি স্কুটারে গ্যাস ঢুকিয়ে দিয়ে থাকে। আর গ্যাস নেয়ার জন্যে সিরিয়ালে থাকে চালকরা নিরূপায় হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে থাকে। যে কোনো সিএনজি স্টেশনের নিজস্ব পাম্প এলাকায় গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করে গ্যাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু চাঁদপুরের গ্যাস পাম্পগুলোতে আসা গাড়িগুলো সড়ক দখল করে গ্যাস নিয়ে থাকে। যার ফলে সড়কে যানজটসহ যাত্রী দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ২ মাস পূর্ব হতে এবং পবিত্র ঈদুল আযহায় মঠখোলা এলাকায় গ্যাস নিতে আসা সিএনজি স্কুটারগুলো মূল সড়ক দখল করে দাঁড় করিয়ে রাখায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যার দুর্ভোগ এখন যাত্রীদেরকে পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সেটকো সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার রুহুল আমিন মিয়াজী জানান, ৩টি গ্যাস পাম্পের মধ্যে ২টি পাম্প বন্ধ থাকায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সকল গাড়ি আমাদের পাম্প থেকে গ্যাস নেয়ায় অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ করতে গিয়ে আমাদেরকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আহত সিএনজি চালকের উপর হামলার ঘটনাটি পাম্পের মধ্যে হয়নি বলে তিনি জানান।
সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ