• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে প্রশাসনের নজরদারিতে ঈদে সস্তিতে কেনাবেচায় মেতে উঠেছে ব্যবসয়ী ও ক্রেতারা

প্রকাশ:  ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৩:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

অাসন্ম ঈদুল অাযহার কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে চাঁদপুরে দ্রবমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন।গত কয়েক দিনে সড়কে যানজট না থাকায় নিরাপদে অামদানিকৃত মাল চাঁদপুরে অাসতে পারায় পণ্যের দাম বাড়ানো হয়নি বলে জানা যায়।ক্রেতাদের ভীড় বাড়াতে শহরের পাইকারী ও খুচরা বিপনীগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বলে দোকানীরা জানান।এদিকে পণ্যেট দাম যেন ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে এজন্য তৎপর রয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

 
 
সরজমিনে ১৪ অাগষ্ট মঙ্গলবার শহরের পালবাজার,বিপুনীবাগ,ওয়ারল্যাছ,বাবুরহাটের বাজারগুলো ঘুরে জানা যায়,
বিক্রেতারা ৫ থেকে ১০ টাকা ব্যবধানে পাইকারী বিক্রেতা থেকে মসলা কিনে খুচরা ও কেজি প্রতি বিক্রি করছে।মসলার মধ্যে 
অাদা-১২০,রসুন-৬০/৬৫,দেশি পেয়াজ-৫২,ইন্ডিয়ান পেয়াজ-৩৮,জিরা-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।চাল বিক্রেতারা বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ২০০ টাকার মুনাফার ব্যবধানে রজনিগন্ধা-২৪৫০,জহুরা-২৪০০,কাজল লতা- ২০০০,নুরজাহান-১৯৫০,নাজিরশাইল-৩০০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
চাল ব্যবসায়ী শরিফ শেখ জানান,লোকাল ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।তবে ঈদ পরবর্তী সময়ে এই দাম কিছুটা কমতে পারে। মুদি দোকানগুলোতে চিনি কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে ৫৫ থেকে ৫০ টাকায় নেমে এসেছে।মুড়ি মোটাটা ১২০ টাকা ও চিকনটা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।চনাবুট ৬০,মসারির ডাল ৮০,ইন্ডিয়ান এলসি ডাল ৫০,মুগ ডাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
এছাড়াও সবজি বাজার গুলোতে অালু ২৩,টমেটো ৮০,লাল শাক ৩০,কুমড়া ২০,পেপে ২৫,মরিচ১৩০,কলমিশাক ২০,ডাটাশাক৩০,শসা ৩৫,মুলা ৪০,বেগুন ৫০,পটল ৪০,চিচিঙ্গা ৩৫,মিস্টি কুমড়া ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিপুনীবাগের কাচা বাজার ব্যবসায়ী অাবু তাহের জানান, জিনিসপত্রের দাম এখন গত সপ্তাহের থেকে কমেছে।সরকারী লোকজনের প্রতিনিয়ত তৎপরতায় বিক্রেতারা এখন অার নিজের ইচ্ছেমত দামে মালামাল বিক্রি করতে পারেন না।
এদিকে মাংসের বাজারে দেখা যায়,বয়লার-১৩০,কর্ক-২৩০,দেশি মোরগ-৪৫০,খাসি-৬৫০/৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বয়লার হাউজ কমিটির মামুন জানান,এবার ঈদে মাংসের দাম অাগের চেয়ে কমেছে।মানুষের সচেতনতাই এবার বাজার ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা করতে দিচ্ছে না।তবে ঈদের পর মাংসের দাম বাড়তে পারে।ব্যবসা ও বাণিজ্য শাখার সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন,অামরা প্রতিনিয়ত ঈদ উপলক্ষ্যে স্পেশালভাবে ভাম্যমান অাদালত পরিচালনা করছি।কোন ব্যবসায়ি মাল গুদামে রেখে বেশি দামে বাজারে বিক্রি করছেকিনা সেদিকে খেয়াল রাখছি।সকলের সহযোগিতায় অামরা চাঁদপরে
পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি।

সর্বাধিক পঠিত