মতলবে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর ॥ হাসপাতালে এসেও হুমিক
মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েও রেহাই মিলেনি রিপন গাজী নামের এক যুবকের। প্রতিপক্ষের লোকজন এখানে এসেও হুমকি দিয়ে গেছে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য। গত ১৪ আগষ্ট সকালে এ ঘটনা ঘটে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আন্ত বিভাগে।
জানা যায়, মতলব পৌরসভার নলুয়া গ্রামের গাজি বাড়ির মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে অলি উল্যাহ গাজীর শ্বাশুড়ী খোদেজা বেগমের সাথে শ্যালক হেলালের জমি রেজিষ্টির দলিল নিয়ে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় বিবাদী পক্ষের স্বাক্ষী হন আলী আশ্রাফ গাজীর ছেলে রিপন গাজী। মামলার স্বাক্ষীর বিষয়ে খোদেজা বেগমের পক্ষ নিয়ে তার জামাই অলি উল্যাহ ও নাতী সোহেল রিপন গাজীকে মামলায় স্বাক্ষী দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু রিপন স্বাক্ষী দিবে বলে জানালে গত ১২ আগষ্ট রাতে নলুয়া গ্রামের সিদ্দিকের দোকানের সামনে অলি উল্যাহ ও তার ছেলে সোহেলসহ বেশ কয়েকজন তাকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা আহত রিপনকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় রিপনকে গত ১৪ আগষ্ট সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন দলবল নিয়ে এসে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যায়। মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুমকির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানায় রিপনআহত রিপন বলেন, মামলার স্বাক্ষী হয়েছি বলেই তারা আমাকে হুমিক এবং মারধর করে। আমি এর বিচার চাই।
আহত রিপনের বাবা আশ্রাফ গাজী বলেন, স্বাক্ষী হওয়ায় তারা দল বেধে আমার ছেলেকে মারধর করল। এলাকার গন্যমান্যদের কাছে বিচার না পেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। লিখিত অভিযোগের পরও তারা হাসপাতালে এসে আমার ছেলেকে হুমকি দিয়ে গেছে।
মারধর ও হুমকির বিষয়ে অলি উল্যাহ গাজীর বাড়িতে গিয়েও তাকে এবং তার ছেলেকে পাওয়া যায়নি। তবে খোদেজা বেগম জানান, মারধর ও হুমকির কোন ঘটনাই ঘটেনি। তবে মারধরের বিষয়টি স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে ঘটনা সতত্যা পাওয় যায়।