• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ॥ আহত ১০

প্রকাশ:  ১০ আগস্ট ২০১৮, ০১:০৬ | আপডেট : ১০ আগস্ট ২০১৮, ০১:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর শহরের ঘোড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্পের কাছে অবস্থিত তাবলীগ জামাতের মারকাজে জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে একজন ভর্তি হয়েছেন।
    তাবলীগ জামাত বর্তমানে বাংলাদেশে দুই গ্রুপে বিভক্ত। এক গ্রুপ ভারতের দিল্লীর মাওলানা সাদের অনুসারী আর অপর গ্রুপ ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মাওঃ জোবায়ের অনুসারী।
    হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাবলীগ জামাতের সদস্য চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোডের মোঃ তাওহিদুর রহমান বাবু জানান, চাঁদপুরের মারকাজ কাকরাইলের নির্দেশ মতো পরিচালিত হচ্ছে না এবং এখানে কোনো আমল হয় না। আমরা আজ (গতকাল) বিকেলে উজানীর পীর সাহেব মাহবুবে এলাহী হুজুরসহ সেই মারকাজে যাই। কিন্তু আগে থেকে সেখানে মোতায়েন করে রাখা লাঠিয়াল বাহিনীর বাধার কারণে উজানীর পীর সাহেব মারকাজের অফিসে ঢুকতে পারেননি। তখন পীর সাহেবের ভক্তরা খুব উত্তেজিত হয়ে যায়। এ সময় মারকাজের ভেতরে বয়ান করছিলেন বাসস্ট্যান্ড মাদ্রাসার মাওঃ আব্দুর রশিদ। তখন আমি এগিয়ে গিয়ে রশিদ সাহেবকে কানেকানে বলি, হুজুর আপনি বয়ান বন্ধ করে উজানীর পীর সাহেবকে সুযোগ করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হবে। কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেন নি। পরে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়। খবর পেয়ে মাগরিবের নামাজের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জসহ ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মারকাজের সকল কার্যক্রম (নামাজ ব্যতীত) বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এরপর উজানীর পীরসহ ৭০ ভাগ মানুষ মারকাজ থেকে চলে আসেন। আমি মারকাজের ভেতর বসা ছিলাম। তখন মাওঃ আব্দুর রশিদ ও মাওঃ আরিফুল্লাহর নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করা হয় এবং রশিদ সাহেব নিজে আমাকে আঘাত করেন। আমার সাথে আমাদের সাথী ভাই আরো ১০জন আহত হন।
    এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্ততি চলছে বলে আহত বাবু জানান।

সর্বাধিক পঠিত