• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে হজ্জ যাত্রীর দেড় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে মোল্লা ট্রাভেল্স

প্রকাশ:  ১০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকার ৫১ জন হজ্জ যাত্রীর প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে মোল্লা ট্রাভেল্স ও ডি লাইট এয়ার এক্সপেস হজ্জ এজেন্সীর মালিক ও কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (৯ আগষ্ট) দুপুরে হজ্জ যাত্রীরা মোল্লা ট্রাভেলস্ ও ডি লাইট এয়ার এক্সপেস চাঁদপুর কালিবাড়ী মন্দিরের বিপরীতে গিয়াসউদ্দিন সরকার ভিলা এসে এ প্রতারণার কথা জানতে পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
যাত্রীদের কাগজপত্রের বিবরণ ও কয়েকজন যাত্রীর সাথে আলাপ করে জানাযায়, মোল্লা ট্রাভেলসের হজ্জ লাইসেন্স নং ১০৪৬ ও ডি লাইট এয়ার এক্সপ্রেস এর হাজ্জ লাইসেন্স নং ৭২৮। ৫১জন হজ্জ যাত্রীর মধ্যে ১৭ জনের ফ্লাইট ৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা ছিল। সে লক্ষে তারা ৭ আগস্ট ঢাকায় যায়। সেখানে এজেন্সির হজ্জ পরিচালক আলহাজ¦ মোঃ শাহজাহান তাদেরকে কাকরাইল মসজিদে রেখে হজ্জের আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র না দিয়ে চলে যায়। এতে হজ্জ যাত্রীদের মাঝে সন্দেহ হলে তারা গ্রামের বাড়ীতে যোগাযোগ করেন।
হজ্জ যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজন ও হজ্জে যাওয়ার জন্য নিবন্ধনকারী অন্যান্য হজ্জ যাত্রীরা চাঁদপুর অফিসে এসে জানতে পারে প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ মাহমুদ হাসান প্রকাশ মাসুদ মোবাইল বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। অফিসের সাইনবোর্ডও খুলে ফেলা হয়েছে। অফিসে আল আমিন নামক একজন পিয়ন কাম কম্পিউটার অপারেটর বসা রয়েছে। তবে আল আমিন জানান, আমি কিছুই জানিনা। আমি চাকুরিতে যোগ দিয়েছি ১ মাস হয়েছে। আমার দায়িত্ব হলো অফিস খুলে বসা। আল আমিন আরো জানান, এ অফিস থেকে ৫১জন হজ্জ যাত্রীকে সিভিল সার্জন অফিসে নিয়ে টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২জন হজের জন্য সৌদি আরবে গেছেন।
কয়েকজন যাত্রী জানান, ঢাকা কাকরাইল মসজিদে থাকা ১৭জন হজ্জ যাত্রী ৮ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় মোঃ মাহমুদ হাসান প্রকাশ মাসুদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার জিডি নং ৫৫৮।
পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমেন বড়–য়া জানান, মো. মাসুদ হোসেন প্রকাশ মাহমুদ প্রতারকের আসল নাম নয়, তার আসল নাম হলো তাজুল ইসলাম মোল্লা। তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় হজ্জে নেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের আরো ২ মামলা রয়েছে। আমরা তাকে দীর্ঘ দিন গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি। এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

হজ যাত্রীদের মধ্যে শহরের সিলন্দিয়া গ্রামের হজ্জ যাত্রী আবুল বাসার মুন্সি, তার স্ত্রী ফাতেমা মুন্সি তার ছেলে খোরশেদ আলম জানান, তারা ৩জন হজ্জে যাওয়ার জন্য মোট ১০ লাখ টাকা দিয়েছে। জিটি রোডের শামসুন্নাহার জানান, তিনি ৩ লাখ টাকা দিয়েছি। স্বর্ণখোলা রোডের অলিউল্যাহ ও তার স্ত্রী জ্যোন্সা বেগম দিয়েছে ৬ লাখ টাকা, শাহমুদপুর ইউনিয়নের কেতুয়ার মো. রফিকুল ইসলাম ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা একইভাবে বালিয়া ইউনিয়নের কুমুরুয়ার আবু তাহের, স্বর্ণখোলা রোডের মাহফুজা বেগম ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানান। এভাবে টাকা দিয়েছেন ৫১জন যাত্রী। তাদের দেয়ার টাকার পরিমাণ প্রায় দেড় কোটিরও বেশী।
কাকরাইল মসজিদে থাকা প্রকৌ. খোরশেদ আলম মুঠোফোনে জানান, আমারা প্রতারণার কথা বুঝতে পেরে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি। এজেন্সির হজ্জ পরিচালক আলহাজ¦ মো. শাহজাহানও আমাদের ফোন রিসিভ করছেন না। এখন আমাদের কি উপায় হবে আল্লাহ ভাল জানেন।
মোল্লা ট্রাভেলস্ ও ডি লাইট এয়ার এক্সপ্রেসের হজ্জ পরিচালক আলহাজ¦ মো. শাহজাহানের মুঠোফোনে ফোন করলে তার স্ত্রী পরিচয় ফোন করে রিসিভ করে নাম না বলে জানান, শাহজাহান আমার স্বামী। তিনি অসুস্থ্য। মিরপুর-১১তে ডেল্টা হেলথ কেয়ার হসপিটালে ভর্তি রয়েছে।

 

 

সর্বাধিক পঠিত