সদর ইউএনও ও প্রধান শিক্ষকের ভূমিকায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী আঁখি
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার জাফরাবাদ এলাকায় প্রশাসন ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন আক্তার আঁখি। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে পূর্ব জাফরাবাদ ঢালী বাড়ির ভাড়াটিয়া সিএনজি স্কুটার চালক আলতাফ হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পূর্ব জাফরাবাদ ঢালী বাড়ির ভাড়াটিয়া সিএনজি স্কুটার চালক আলতাফ হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তার আঁখি ৯৪নং পূর্ব জাফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ে। সে বাড়ির অপর ভাড়াটিয়া সফিনা বেগমের চোখ পড়ে স্কুল ছাত্রী শারমিন আক্তার আঁখি উপর। সফিনা বেগম তার দেবর ১০নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের শহীদ শেখের ছেলে রিয়াদ শেখ (২৭)-এর সাথে এই স্কুল ছাত্রীর বিয়ে দেয়ার জন্যে প্রস্তাব দেয়। তার কথা অনুযায়ী হতদরিদ্র পিতা-মাতা সেই প্রস্তাবে রাজী হয়ে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শারমিন আক্তার আঁখি স্কুলে পরীক্ষা দিতে গেলে বিয়ের ঘটনাটি তার সহপাঠীদের জানায়। এ খবর জানাজানি হলে বিষয়টি চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমাকে জানানো হয়। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষক চন্দনা কর্মকারকে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে পাঠান। প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের বাল্যবিয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে অভিভাবকগণ আঁখিকে বিয়ে দিবে না মর্মে অঙ্গীকার করেন।