ভাঙ্গন কবলিত পুরাণবাজার হরিসভা এলাকা পরিদর্শনকালে ডাঃ দীপু মনি এমপি
ভাঙ্গন কবলিত স্থান রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে
গতকাল ৮ আগস্ট বুধবার দুপুরে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকার নদী ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। এদিকে দীপু মনি ভাঙ্গন কবলিত স্থানে আসছেন এমন সংবাদ পেয়ে এলাকার মানুষজন ছুটে আসে। তারা নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দীপু মনির নিকট জোর দাবি জানান। এলাকাবাসীর কেউ কেউ ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে দ্রুতগামী লঞ্চ সার্ভিস 'গ্রীন লাইন' লঞ্চটি নদীর পাড় ঘেঁষে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও দাবি জানান। ডাঃ দীপু মনি উপস্থিত এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আপনারা চিন্তা করবেন না। শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন কবলিত স্থান রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছেন ভাঙ্গন শুরুর সাথে সাথে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও বস্নক ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী এখানে কাজ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমার দায়িত্বকালে নদী ভাঙ্গনরোধে সবচেয়ে বেশি কাজ করা হয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ আমি আনতে পেরেছি। ভাঙ্গন প্রতিরোধে যা যা করণীয় আমি তা-ই করব। সকলে দোয়া করবেন নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে যাতে আমরা সকলে রক্ষা পাই।
ডাঃ দীপু মনিকে ভাঙ্গন কবলিত স্থানের সমস্যা সম্পর্কে অবহিত করেন চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়। এ সময় চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী মাঝি, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, চেম্বার পরিচালক গোপাল সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আইয়ুব আলী বেপারী, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতা লিটন সাহা, কার্তিক সরকার, নেপাল সাহা, জুয়েল কান্তি নন্দু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেন মানিক, মোঃ আবুল খায়ের মিজি, মোবারক হোসেন, বিশ্বনাথ বণিকসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শহর রক্ষা বাঁধ হরিসভা এলাকায় গত কদিন ধরে ভাঙ্গন দেখা দিলে তা প্রতিরোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগসহ বস্নক ফেলা হয়। তবে প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এলাকাবাসী জানায়, ভাঙ্গন কবলিত স্থানটি শহর রক্ষা বাঁধের আওতাধীন হলেও এ স্থানের ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তেমন আন্তরিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। তারা জানান, বর্ষার আগে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে ভাঙ্গনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে শহর রক্ষা বাঁধ অনেকটা রক্ষা পেতো। জরুরি ভিত্তিতে যদি এ স্থান রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তাহলে দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী রাস্তা, মঠ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ হাজার হাজার লোকের বাসস্থান নিমিষেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তাই শহর রক্ষা বাঁধের এ স্থানটি স্থায়ীভাবে রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে এলাকাবাসী জোর দাবি জানান।
সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ