• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে বৃক্ষমেলায় দূর্লভ গাছ বিক্রির অন্যতম স্টল চৌধুরী নার্সারী ও তাহসীন নার্সারী

প্রকাশ:  ০৫ আগস্ট ২০১৮, ২০:৩৫ | আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০১৮, ২০:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরে অপ্রতিরোধ্য দেশের অগ্রযাত্রা ফলে পুষ্টি দেবে নতুন মাত্রা’ এই শ্লোগানকে ধারন করে শুরু হয়েছে বৃক্ষমেলা। গত ৩০ জুলাই রোববার হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল মাঠে জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও সামাজিক বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে শুরু হওয়া এবারের বৃক্ষ মেলা ২০১৮ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি এমপি। সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলায় গাছ কেনা বেচার জন্য সময় নির্ধারণ করেছে প্রশাসন। মেলায় স্টলে ভিন্ন রকমের বৃক্ষ রেখে জনগণের দৃষ্টি করেছে চৌধুরী নার্সারী ও তাহসীন নার্সারী। ফুল, ফল, বনজ, ভেষজ, অর্কিড, ক্যাকটাস, স্যাকুল্যান্ড প্রজাতির দেশী বিদেশী গাছ এবং টব পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে জনপ্রিয় হচ্ছেন এই দুই নার্সারি। ৫ আগস্ট মেলায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডায়বেটিক গাছ, কাঞ্চন ফুল, থাই পেয়ারা, চায়না কমলা, থাই শরিপ ফল, ছাতা বেত রাজ, মাধবী লতা, এলভেরা, মাল্টা, চায়না টগর, গোলাপ ইত্যাদী চারা গাছ বেশ ক্রেতা ভীড়ে বিক্রি করছে নার্সারীর কর্তৃপক্ষ। চৌধুরী নার্সারীর স্বত্ত্বাধিকারী শাহাদাত হোসেন মাসুদ চৌধুরী জানান, চাঁদপুর-কুমিল্লা রোডের ওয়াপদা গেইটে আমার স্থায়ী নার্সারী রয়েছে। প্রতি বছরই মেলায় আমি স্টল দেই এবং এবারও দিয়েছি। পরিবেশ বাঁচাতে গাছের গুরুত্ব অনেক সেটা সবাই বুজতে পারছে। সেজন্যই মানুষ বেশি বেশি গাছ কিনে লাগাতে মেলামুখী হচ্ছেন। ক্রেতারা অন্য স্টলগুলোর তুলনায় আপনার স্টলে কেন বেশি আসছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ক্রেতাদের প্রয়োজন সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় গাছ এনেছি। অন্যদের তুলনায় শিক্ষার্থী হলে কিছুটা কমে গাছ বিক্রি করছি। হয়ত এজন্যেই মানুষ ভালোবেসে আমার স্টলের গাছ কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন। ওই দুই স্টলের সহকারী মোঃ মান্নান মোল্লা ও আরমান হোসেন জানান, প্রতিদিন কৃষি কর্মকর্তারা মেলা পরিদর্শনে আসেন। তারাও দেখেছেন আমরা মানুষকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করি এবং ভালোমানের চারা গাছ বেছে দিয়ে কিনতে সাহায্য করি। তাই মানুষ অন্য দোকানের স্টল ছেড়ে আমাদের কাছে বেশি আসছে। এদিকে মানুষকে গাছ লাগানোর কৌশল ও মডেল শিখানোর জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নীচে সামাজিক বনায়ন মডেল তৈরি করা হয়েছে। যেখানে রিং বাঁধ ও স্প্রিং বাঁধ প্রকল্পে গাছ লাগানোর পদ্ধতি দৃশ্যমান করা হয়েছে। মেলার অন্যান্য স্টলগুলো হচ্ছে ফলদ ও বৃক্ষমেলা, ইকরাম পাটোয়ারীর নার্সারী, আদর্শ বনলতা নার্সারী, পুলিশ লাইন্স নার্সারী, এ্যাপোলো নার্সারী, সরকার নার্সারী, মায়ের দোয়া নার্সারী, আল-আমিন নার্সারী ও বৃক্ষ বিলাস স্টেডিয়াম নার্সারী। এবারের মেলা ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেষ করার কথা থাকলেও মানুষকে নতুন নতুন গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আগ্রহ আরো বাড়াতে মেলা ১১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

সর্বাধিক পঠিত