জেলায় অাড়াই হাজারের অধিক নারীকে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল প্রদান করা হবে
অমরেশ দত্ত জয়
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০১৮, ১০:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
বর্তমান অাওয়ামীলীগ সরকার সারা দেশে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচি'র অাওতায় উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছে।এই কর্মসূচী চাঁদপুর জেলায় বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমানকে সভাপতি ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মহিউদদ্দিন অাহমেদকে সদস্য সচিব করে রেসপেকটিভ কমিটি গঠন করা হয়েছে।এই রেসপেকটিভ কমিটির মাধ্যমে উপকার ভোগী যাচাই-বাছাইকরন চলছে বলে জানা যায়।
জেলার উপজেলাধীন পৌরসভার স্থায়ী দরিদ্র কর্মজীবী গর্ভবতী বা দুঃস্থ নারী মা বা প্রতিবন্ধী মা শুধু মাত্র ১ম ও ২য় গর্ভকালীন সন্তানের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাওয়ার জন্য অাবেদন করতে পারবেন।
৩ অাগষ্ট শুক্রবার বিভিন্ন সূত্রে অাবেদনকারী প্রার্থী নির্বাচন সম্পর্কে চাঁদপুর পোষ্ট জানতে পারে, সরকারী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের সনদ অনুযায়ী ৭ মাসের গর্ভবতী থেকে শুরু করে দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী দুদ্ধদায়ী মা এই উপকার গ্রহনে অগ্রাধিকার পাবে।তবে এ ক্ষেত্রে তার বয়স ২০ ও পরিবারের মাসিক অায় হতে হবে ৫ হাজার টাকা বা এর কম।এজন্য নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে ওই কাউন্সিলরের নিকটই অাবেদন সমাপ্ত করতে হবে।
পরে অাবেদনকারীর তথ্য যাচাই বাছাই করে একটি নির্দিষ্ট তালিকা করে কাউন্সিলর তা পৌর মেয়রের নিকট প্রদান করবেন।তবে ১ম সন্তান মাতৃগর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় বয়স ৭ মাসের কম হলে অথবা একই মায়ের ৩য় সন্তানের ক্ষেত্রে এ সুবিধার জন্য অাবেদন করতে পারবেন না।
তথ্যে চাঁদপুর পোষ্ট অারো জানতে পারে, যারা উপাকরভোগী হিসেবে নির্বাচিত হবেন তাদের শিশু সন্তান জন্মানোর পর মারা গেলেও তার মা অথবা মা মারা গেলে ওই শিশুর বৈধ অভিভাবক নির্ধারিত সময় সমাপ্তি পর্যন্ত ভাতা পেতে থাকবেন।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দীন অাহমেদ চাঁদপুর পোষ্টের এ প্রতিবেদককে জানান, নতুন অর্থ বাজেটে জেলার হাইমচর বাদে চাঁদপুর সদরে ৮'শ,ফরিদগঞ্জে ৩'শ,মতলব(উঃ),মতলব (দঃ) ও কচুয়ায় সাড়ে ৩'শ,শাহারাস্তি ও হাজিগঞ্জে ৪'শ জন করে মোট ২ হাজার ৯'শ ৫০ জনকে এই উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচন করা হবে।যেখানে পূর্বে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা হিসেব করে ৬ মাস অন্তর অন্তর একসাথে ৩ হাজার টাকা করে ২ বছর পর্যন্ত ভাতা সুবিধা দেওয়া হতো।বর্তমানে সরকার ২০১৮ এর জুন মাসে পূর্বের অর্থ বাজেট শেষ হওয়ায় নতুন অর্থ বাজেটে এই উপকার তহবিলের সহায়তা অারো ১ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি চাঁদপুর পোষ্টকে অারো জানান, পূর্বের উপকারভোগী সহায়তার পরিমাণ ৫০০ টাকা হতে ৮০০ টাকা করে পূর্বের নিয়মে ৬ মাস অন্তর অন্তর মোট ৪ হাজার ৮'শ টাকা প্রত্যেক নির্বাচিত মহিলাকে প্রদান করা হবে।এ সুবিধা জিবনে ১ নারী ১ বারই পেয়ে থাকবেন।তবে কোন কাউন্সিলর যদি স্বজনপ্রীতি করে নিয়ম লঙ্ঘন করে এ বিষয় প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নারী নেত্রী মানবতার মা শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর থেকেই সুবিধাবঞ্চিত নারীদের নিয়ে কাজ করে চলেছেন।সরকারের এমন উন্ময়ন কর্মকান্ড সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জনসাধারণের মাঝে সঠিক ভাবে পৌঁছে দিয়ে সরকারের উন্নয়নের সুনাম অব্যাহত রাখবেন এমনটাই চাঁদপুরের সচেতনদের প্রত্যাশা।