• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদের আজ ৯৩তম জন্মবার্ষিকী

প্রকাশ:  ০১ আগস্ট ২০১৮, ০৯:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আজ ১ আগস্ট ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক কর্মাধ্যক্ষ এমএ ওয়াদুদ ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট চাঁদপুর জেলার (তৎকালীন চাঁদপুর মহকুমা) বর্তমান সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নস্থ রাঢ়িরচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

জনাব এমএ ওয়াদুদ গণতান্ত্রিক যুবলীগ (১৯৪৮), পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ (১৯৪৮) ও কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলার (১৯৫৬) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এমএ ওয়াদুদ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (১৯৪৯), সাপ্তাহিক ইত্তেফাক (১৯৪৯) ও দৈনিক ইত্তেফাক (১৯৫৩) প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

জনাব এমএ ওয়াদুদ ১৯৫৩-৫৪ সালে প্রাদেশিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দু'বার নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১ (এক) বার প্রাদেশিক ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের দায়িত্বও তিনি নিষ্ঠা ও সাফল্যের সাথে পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে তিনি ১৯৪৮ সালে একবার এবং ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দ্বিতীয়বার কারাবরণ করেন। ১৯৫৪ সালে ৯২ (ক) ধারা জারি করে যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বরখাস্ত করার পর ছাত্র আন্দোলনকে স্তিমিত করার জন্যে পুনরায় এমএ ওয়াদুদকে কারারুদ্ধ করা হয়। ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে তৎকালীন শাসকদের রুদ্ররোষের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপন করতে তিনি বাধ্য হন। ১৯৪৯ সালে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে বঙ্গবন্ধুসহ এমএ ওয়াদুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার হন।

১৯৭৮ সালে সামরিক সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে মন্ত্রীত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তিনবার বিভিন্ন মেয়াদে এমএ ওয়াদুদ কারাবরণ করেন। সামরিক শাসনের সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে বারবার মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাঁকে হয়রানি করা হয়।

জনাব এমএ ওয়াদুদ ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগের পর থেকে ১৯৭১ পেরিয়ে ১৯৮৩-এর ২৮ আগস্টে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাঙালির ভাষা, স্বাধীকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির সকল আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য, চিকিৎসক, আইনজীবী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীপু মনি তাঁর একমাত্র কন্যা এবং ডায়াবেটিক ফুট সার্জারীতে দেশের একমাত্র বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসক ডাঃ জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ ওরফে জেআর ওয়াদুদ (টিপু) তাঁর একমাত্র পুত্র।

সর্বাধিক পঠিত