• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

আবারও পুরনো ঐতিহ্যে পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ

মানবিকতা সম্পন্ন একটি তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য

----------অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার

প্রকাশ:  ১৯ জুলাই ২০১৮, ২২:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট


একটি সময় ছিল যখন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ছিল ঈষর্ণীয়। ফলাফল প্রকাশিত হলে সবার চোখ থাকতো পুরাণবাজার কলেজের দিকে। প্রতিবছরই পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ ফলাফলে তার পুরনো ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল। কলেজে রক্ষিত ফলাফল বোর্ড তা বলে দেয়। কিন্তু গত কয়েক বছর পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে অর্জনে পুরনো ঐতিহ্য যেন হারিয়ে ফেলেছিল। নানা চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে এ বছর ফলাফলে পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ তার পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছে। এবার প্রকাশিত হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৩৪ জন। তার মধ্যে পাস করেছে ৩৭৬ জন। পাসের হার ৭১%। বিজ্ঞান বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ৬৯ জন পাস করেছে ৫২ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ২১৮ জন পাস করেছে ১৭৬ জন এবং মানবিক বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৪৭ পাস করেছে ১৪৮ জন। মানবিক বিভাগে একজন ছাত্রী জিপিএ-৫ পয়েছে।
ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর এ বিষয়ে কথা হয় কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদারের সাথে। তিনি জানালেন মাঝ খানে কলেজটি তার গৌরব হারিয়ে ফেলেছিল। আমি অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর কলেজের শিক্ষকম-লী এবং পরিচালনা পর্ষদের সকলে মিলে কলেজের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিতভাবে কাজ করেছি। আমাদের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো এড্রেস করেছি যার ফলে আমাদের এ কাঙ্খিত ফলাফল। এর জন্য আমি কলেজের শিক্ষকম-লী এবং কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত সকল সদস্যের কাছে কৃতজ্ঞ যারা ভাল ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
তিনি আরো জানালেন, পাসের হারে তিনি শতভাগ সন্তুষ্ট নন। কারণ যে মানের ছাত্র-ছাত্রীরা এ কলেজে ভর্তি হয় তাদেরকে নার্সিং করে এ ফলাফল অজর্ন করাটা ছিল একটি চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, আমরা যদি চাঁদপুর সরকারি কলেজে এবং চাঁদপুর সরকারি মাহিলা কলেজে ভর্তি হওয়া মানের ছাত্র-ছাত্রী পাই তবে শতভাগ পাস নিশ্চিত করা দুরূহ কোন বিষয় নয়। আমাদের সে চেষ্টাই অব্যাহত আছে। আশা করছি আগামী বছরগুলোতে ঈষর্ণীয় ফলাফল করে কলেজের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবো। আমরা পাসের হারে বিশ্বাসী নই, আমরা গুণগত শিক্ষায় বিশ্বাসী। আমরা কলেজটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ দিতে সচেষ্ট যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা মেধা ও মননে বিকশিত হতে পারে। জিপিএ ৫ মানেই সবকিছু নয় মানবিকতা সম্পন্ন একটি তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা কলেজে শিক্ষকম-লী সে লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করে চলেছি।

 

সর্বাধিক পঠিত