অপহরণ মামলায় শিল্পকলার নৈশ প্রহরী বিশু জেলহাজতে
চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নৈশ প্রহরী কাম ঝাড়–দার শেখেরহাট ত্রিপুরা পল্লীর বাসিন্দা বিশ্বনাথ চৌধুরী ওরফে বিশু মুসলিম সম্প্রদায়ের এক কিশোরীকে প্রেমের প্রলোভনে অপহরণের ঘটনায় ওই কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে আটক করেছে। একই সাথে অপহরণের শিকার কিশোরীটিকে চাঁদপুর শহর থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। বিশ্বনাথ চৌধুরী বিশু বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, বিশ্বনাথ চৌধুরী বিশু শহরের মাঝি বাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া রিনা বেগমের কিশোরী কন্যাকে মিথ্যা প্রেমের জালে জড়িয়ে বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দিয়ে চাঁদপুর থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। গত কদিন পূর্বে বিশু ওই কিশোরীকে নিয়ে প্রথমে খুলনার বাগেরহাটে যায়। ঘটনার পর কিশোরীকে না পেয়ে তার মা রিনা বেগম প্রথমে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম-এর বরাবর বিশুর বিরুদ্ধে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়েটির পরিবার মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্যে ঢাকায় নিকট আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে রাখে। সেখান থেকেও সে মেয়েটিকে ভাগিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল। গত ১ জুূলাই কিশোরীটিকে ভাগিয়ে সে খুলনার বাগেরহাটে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে নাকি সে ধর্মান্তরিত না হয়ে নিজ ধর্মে থেকেই মেয়েটিকে বিবাহ করে। তাছাড়া বিশুর প্রথম স্ত্রীর সংসারে দুইটি সন্তান রয়েছে। তাদেরকে ভরণ পোষণ না দিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের এই মেয়েটির সাথে প্রেমের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিনিয়তই মনোমালিন্য এমনকি মারামারি হয়ে থাকত।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়ালী উল্লাহ অলি জানান, অপহরণের শিকার কিশোরীর মা বিশ্বনাথ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আমরা বিশুকে আটক করি। বিশুর স¦ীকারোক্তি মতে চাঁদপুর শহর থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করা হয়। রিনা বেগমের অভিযোগটি আমলে নিয়ে অপহরণ মামলায় আমরা তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। কিশোরীটিকে শুক্রবার ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হবে।