ফেন্সি হত্যাকান্ডে আটক ৪ আসামীর জামিন নামঞ্জুর ॥ মামলার তদন্তের স্বার্থে বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার জব্ধ
চাঁদপুর শহরের ষোলঘর পাকা মসজিদ এলাকার আলোচিত অধ্যাপিকা শাহিন সুলতানা ফেন্সি হত্যাকা-ে আটক সন্দেহভাজন ৪ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করেছে বিজ্ঞ বিচারক। এর পূর্বে বুধবার অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামসহ সন্দেহভাজন আটক ৪ আসামীকে হত্যাকা-ের প্রমাণ মিলাতে হাতের ছায়ালিপি সংগ্রহের জন্য ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের হেডকোয়ার্টারে নেয়া হয়েছিল। সেখানে কাজ শেষ করে ওইদিন রাত ১০টায় তাদেরকে চাঁদপুরে নিয়ে আসা হয়।
গত ৪ জুন ষোলঘর পাকা মসজিদ এলাকার অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামের বাসায় তার প্রথমা স্ত্রী ফরিদগঞ্জ গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহিন সুলতানা ফেন্সি নির্মমভাবে খুন হয়। খুনের ঘটনার পর পুলিশ বাসা থেকে অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামকে আটক করে। পরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমকে শহরের নাজির পাড়া থেকে আটক করা হয়। এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে জুলেখা বেগমের ভগ্নিপতি ওয়াজকুরুনিকে আটক করা হয়। গত ২৪ জুন ফেন্সি হত্যাকা-ের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ফেন্সির চাচাতো ভাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেনকে আটক করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এ ৪ জনকে বিভিন্œভাবে ফেন্সি হত্যাকা-ের বিষয়ে রিমান্ডে এনে ও জেলগেটে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ফেন্সি হত্যাকা-ের পর ওই বাসা থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন আলামত গোয়েন্দা পুলিশ সংগ্রহ করে। ওই আলামতের সাথে কারা জড়িত তা প্রমাণের জন্য আটক ৪ জনকে গত বুধবার দুপুর অনুমান ১২টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন সঙ্গীয় সদস্যদের মাধ্যমে পুলিশী নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মাইক্রোবাসযোগে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের সদর দপ্তরে নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার চাঁদপুর আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডঃ আব্দুল লতিফ শেখ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ আব্দুল আল মামুন ৪ জনের জামিনের আবেদন করেন। বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ কায়সার মোশাররফ ইউসুফ জামিন শুনানী করে তা নামঞ্জুর করে জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অপরদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন গতকাল দুপুরে অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামের বাসা থেকে খুন হওয়া অধ্যাপিকা শাহীন সুলতানা ফেন্সির ব্যবহৃত প্রায় ১১ ভরির বেশি স্বর্ণালঙ্কার জব্ধ করে এনেছে। এ সময় স্বাক্ষী হিসেবে অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামের ভাই স্বপন মিজি, মেয়ের জামাতা আরিফ হোসেনের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়।