আনন্দবাজার নদীভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে ডাঃ দীপু মনি এমপি
আগামীদিনে এই এলাকায় নদীভাঙ্গন প্রতিরোধসহ আরো ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে
চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, চাঁদপুরবাসীর প্রধান সমস্যা ছিলো নদীভাঙ্গন। সেই সমস্যা বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই সমাধান করেছে। সরকার প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ কিলোমিটার নদীর পাড় বাঁধাই করার মাধ্যমে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করে চাঁদপুরবাসীর মনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। আনন্দবাজার এলাকার নদীভাঙ্গনও প্রতিরোধ করা হবে। এ এলাকায় ভাঙ্গনের খবর শুনে আমি সাথে সাথে প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার জন্যে বলেছি। প্রশাসন ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রাথমিকভাবে নদীভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন।
তিনি আরো বলেন, এক সময় মানুষকে অনেক কষ্ট করে আনন্দবাজারে আসতে হতো। এখন আর সেই কষ্ট করতে হয় না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এখানে এখন রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে, স্কুল-মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। আগামীদিনে এই এলাকায় নদীভাঙ্গন প্রতিরোধসহ আরো ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে বলে তিনি জনসাধারণকে আশ^স্ত করেন।
গতকাল ২২ জুন শুক্রবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচ-ী ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় মেঘনার ভাঙ্গন পরিদর্শনকালে ডাঃ দীপু মনি এমপি এ কথাগুলো বলেন। তিনি নদীভাঙ্গনে যে কয়টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে সহায়তার আশ^াস প্রদান করেন। এ সময় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে নদীভাঙ্গন প্রতিরোধ কাজেরও উদ্বোধন করেন তিনি।
উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী বেপারী, তরপুরচ-ী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন রাসেল গাজী, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিদা বেগমসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে সদর উপজেলার আনন্দবাজার এলাকায় মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢেউয়ের আঘাতে নদী পাড়ে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ফলে নদী পাড়ের কয়েকটি বসতঘর ভেঙ্গে সরিয়ে নিতে হয়েছে। নদীভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে সেখানকার সহ¯্রাধিক জেলে পরিবার। বসতঘর টিকিয়ে রাখতে স্থানীয়রা নদীর পাড়ে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছে।
সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ