• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে...

প্রকাশ:  ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:১৫ | আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:৪৩
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রিন্ট
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ‘এ’ ইউনিটের দ্বিতীয় দিনের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় শিফটে প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়ায় দুজনকে আটক করে চৌদ্দ শিখায় দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে ওই দুজনকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ড প্রাপ্তরা হলেন- কামরুজ্জামান রাজ্জাক ও মোহাইমিনুল ইসলাম সালমান। আর আবদুল আল নোমান নামে অন্য একজনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব কুমার ঘোষ ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় এ দন্ড দেন বলে জানা যায়। প্রক্সি দিতে আসা কামরুজ্জামানের মুখ জবানিতে শোনা যায় ঘটনার নেপথ্যে কাহিনী, তিনি জানান, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। যিনি জাবির ‘এ’ ইউনিটে মেহেদী হাসান নামে এক শিক্ষার্থীকে ৩লাখ টাকার বিনিময়ে ভর্তি করিয়ে দিবে বলে চুক্তি করে। চুক্তি অনুসারে রাজ্জাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ৪০৫নং কক্ষে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে আসে। এ সময় প্রবেশ পত্রের সাথে ছবির মিল না পাওয়ায় শিক্ষকরা তাকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাবির ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল ইসলাম সালমান ও তার বন্ধু আবদুল আল নোমানকে আটক করে প্রশাসন। আটক হওয়ার পর রাজ্জাক প্রক্সি দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি আমার বন্ধু মোহাইমিনের কথায় পরীক্ষা দিতে এসেছি। ও বলেছিল এখানে পরীক্ষা দিতে কোন সমস্যা নাই, চেক করা হয় না।’ এ বিষয়ে মোহাইমিন বলেন, ‘আমি আমার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু সারোয়ারের ছোট ভাইয়ের হয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার জন্য আরেক বন্ধু কামরুজ্জামান রাজ্জাকের সাথে তিন লাখ টাকার চুক্তির করি। বাকি সব কথাবার্তা তাদের মধ্যে হয়েছে আমি কিছু জানি না।’ এসব সব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘প্রক্সি দেয়ার অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। রাতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দুজনকে একমাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আর বাকি একজনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

সর্বাধিক পঠিত