• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

যে কারণে স্ত্রীকে খুন করে স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

প্রকাশ:  ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ২১:৪২ | আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ২১:৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকার একটি বাড়িতে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।নিহতের নাম সোমা আক্তার (২৮)। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। একই হাসপাতালে তার স্বামী মনির হোসেন (৩৫) কে গুরুতর আহতাবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে মধ্য বাড্ডার লুৎফুন টাওয়ারের পেছনে ৭১ নম্বর বাড়িতে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী ও নিহতের স্বজনরা এই তথ্য জানিয়েছেন।

মনির হোসেনের ভাতিজা মো. আল আমিন বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই মনির হোসেন। একই গলিতে আমাদের বাড়ি। ১৪/১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে সোমার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বাড্ডার আদর্শ নগর এলাকায় সোমাদের বাড়ি। তাদের একমাত্র কন্যা সন্তান মারিয়া (১৩)। মনির হোসেনদের নিজেদের বাড়ি। তার বাবার নাম শরীফ হোসেন। আমার চাচাতো দাদা হন তিনি। দাদার এক ছেলে ও চার মেয়ে। কিছুদিন আগে তার স্ত্রী ও এক মেয়ে মারা যায়। চার কাঠার ওপরে ৭১ নম্বর দোতালা বাড়ি। এই বাড়িতে মনির হোসেন, তার স্ত্রী সোমা, মেয়ে মারিয়া, বাবা শরীফ হোসেন ও বোন খুশী থাকেন। অন্য দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। তারা স্বামীর সংসারে থাকেন।তাদের খুব গোছানো সংসার।’

আল আমিন বলেন, ‘আমি জুম্মার নামাজে ছিলাম। আমার দাদা শরীফ হোসেনও নামাজে ছিলেন। নামাজ থেকে ফেরার পর বাড়িতে চিৎকার চেচামেচি শুনতে পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি, আমার ফুফু খুশী মানুষ ডাকছেন। সোমা চাচি রক্তাক্ত অবস্থায় সিঁড়ির গোড়ায় পড়ে আছেন। আমি দ্রুত সিএনজিতে করে তাকে  ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাই। এসময় আমার ফুফুসহ আরও কয়েকজন সঙ্গে ছিলেন। এর আগে চাচা মনির হোসেনকেও সিএনজিতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক সোমা চাচিকে মৃত ঘোষণা করেন। মনির চাচাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

এই হত্যার নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে? জানতে চাইলে আল আমিন বলেন, ‘তাদের সংসারে কোনও ঝামেলা নেই। এর আগে কখনও তাদের (স্বামী-স্ত্রী) মধ্যে বড় কোনও ঝামেলার কথা শুনিনি। হঠাৎ করে কী হলো জানি না। আমার দাদা শরীফ হোসেন সন্তানদের মধ্যে সব সম্পত্তি ভাগ করে দিয়েছেন। তাদের কোনও অভাব নেই।’

মনির হোসেন মাদকাসক্ত কিনা? স্ত্রীর কাছ থেকে মাদকের টাকা চেয়ে না পেয়ে হত্যা করেছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এরকম কিছু শুনিনি। তার স্ত্রীর কাছে টাকা চাইতে হবে কেন? তার কাছে তো বাড়ির ভাড়াটিয়াদের টাকা তোলার দায়িত্ব। তিনি নেশা করেন কিনা, তা আমি কখনও শুনিনি।’

মনির হোসেনের চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম একই তথ্য জানান। তবে হত্যার কারণ তিনিও বলতে পারেননি।

নিহত সোমার বড় বোন রেহানা আক্তার ঢামেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন, মনির হোসেন মাদকাসক্ত ছিলেন। তার বোনের কাছে মাদকের টাকা চেয়ে প্রায়ই তাকে মারধর করতেন। বোনের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ঢামেকে ছুটে আসেন স্বজনরা।’

ওসি ওয়াজেদ আলী জানিয়েছেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। হাসপাতালেও পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করেছি।

 

সর্বাধিক পঠিত