ফেসবুকে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে খুন ১, আটক ৩
রাজধানীর কদমতলীতে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে প্রতিপরে ছুরিকাঘাতে শিপন (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকালে কদমতলীর রায়েরবাগ খানকা শরীফ রোডে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন সাগর ওরফে মুন্না (১৯) নামে আরো এক যুবক। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ একই হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আহত মুন্না জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রায়েরবাগ খানকা শরিফ রোডে তারা কয়েকজন বন্ধু আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় একই এলাকার বখাটে মিনহাজ, সজিব, আদনানসহ ৭ থেকে ৮ জন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করা ছাড়াও শিপনের বুকে এবং মুন্নার বাম হাত ও চোখে এলোপাথাড়ি ছুড়িকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। বন্ধুরা তাদের ঢামেক হাসপাতালে নিলে সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিপনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্না আরো জানান, সজিব, মিনহাজ, আদনান সবাই একই এলাকার বাসিন্দা। আগে এক সঙ্গেই চলাফেরা করতেন তারা। কিছুদিন ধরে সজিবরা সিনিয়র দাবি করে এবং অন্য এলাকায় গিয়ে আড্ডা দেয়। এ নিয়ে সজিবের সঙ্গে তাদের ফেসবুক মেসেঞ্জারে ঝগড়াও হয়। গতকাল সেই ঝগড়ার সমাধানের জন্য শিপন, মুন্নারা মুজাহিদ খানকা শরীফের ভিতরে বসে ছিলো। সেখানেই তাদের উপর হামলা করে সজিবরা।
নিহত শিপনের বাবা আলী আহামদ দেওয়ান বলেন, বিদেশে পাঠানোর জন্য শিক্ষানবিস হিসেবে শিপনকে গ্রীলের দোকানে দিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই সন্ত্রাসীরা হত্যা করলো তার ছেলেকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ীর এএসআই বাবুল মিয়া জানান, শিপনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদরে। সপরিবারে তিনি কদমতলীর মোহাম্মদবাগের ১১৫০ নম্বর বাসায় থাকতেন। এই ঘটনায় নিহতের বন্ধুদের মধ্যে সন্দেহভাজন ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।