• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

স্ত্রীর সঙ্গে বিছানায় পুলিশ কর্মকর্তা, ধরলেন স্বামী

প্রকাশ:  ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:২৯ | আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৩১
খুলনা প্রতিনিধি
প্রিন্ট

খুলনা মহানগর পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় কর্মরত নারী পুলিশ কনস্টেবল রাজিয়া সুলতানা এবং পুলিশের এএসআই মো. মাহামুদুল হাসান আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন।

অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় দুজনকে হাতেনাতে ধরেন এলাকাবাসী। রাজিয়ার ভাড়া বাসা থেকে তাদের ধরা হয়। এ ঘটনায় নারী পুলিশ কনস্টেবল রাজিয়ার স্বামী মো. রবিউল ইসলাম ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার অভিযুক্ত নারী কনস্টেবল ও এএসআইকে সোনাডাঙ্গা থানা থেকে বদলি করা হয়।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, নারী পুলিশ কনস্টেবল রাজিয়া সুলতানাকে লবণচরা থানায় এবং এএসআই মো. মাহামুদুল হাসানকে রূপসা পুলিশ বক্সে বদলি করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি বিভাগীয়ভাবে তদন্তনাধীন। তবে রাজিয়া ও তার স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ ছিল বলেও জানান তিনি।

রাজিয়া সুলতানার স্বামী খুলনা ওয়াসার কর্মচারী মো. রবিউল ইসলামের অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন বৌবাজার সংলগ্ন এলাকায় ১৫৫/৫ নম্বর হোল্ডিংয়ের সৈয়দ মঞ্জিলের নিচ তলায় ভাড়া থাকেন রবিউল ও তার স্ত্রী পুলিশ কনস্টেবল রাজিয়া সুলতানা।

আড়াই বছর বয়সের তাদের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। গত ১ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে রবিউল ওয়াসার পানির পাম্পের ডিউটিতে বের হন। এরপর রাত ২টার দিকে তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রী রাজিয়াকে দরজা খুলতে বলেন।

এ সময় অন্য দিনের তুলনায় একটু ব্যতিক্রম কিছু উপলব্ধি করেন রবিউল। তার স্ত্রী রাজিয়া দরজা খুলতে অনেক সময় নেন। একপর্যায়ে স্বামীর অতিরিক্ত ডাকাডাকির পর দরজা খোলেন।

ঘরে প্রবেশ করে রবিউল দেখতে পান তাদের শোয়ার একটি কক্ষের দরজায় তালা। তিনি স্ত্রীকে ওই কক্ষের দরজা খুলতে বললে স্বামীকে অপর একটি কক্ষে ঘুমানোর জন্য বলেন। কিন্তু রবিউল ওই ঘরের দরজা খুলতে বাধ্য করেন স্ত্রীকে। অবশেষে বেরিয়ে এলো আসল রহস্য। খাটের নিচে পাওয়া গেল একই থানায় কর্মরত পুলিশের এএসআই হাসানকে।

রবিউল এ দৃশ্য দেখে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে চাইলে স্ত্রী রাজিয়া ও এএসআই হাসান তাকে বাধা দেন।

এ সময় রবিউল চোর চোর বলে চিৎকার দিলে এএসআই হাসান তার গলা চেপে ধরেন। গভীর রাতে ঘরের শব্দ আশপাশের লোকজন শুনে ঘটনাস্থলে এসে স্বামী রবিউলকে উদ্ধার করেন।

কিছুক্ষণ পরই সোনাডাঙ্গা মডেল থানার টহল গাড়ি এসে এএসআই হাসান ও রাজিয়াকে নিয়ে যায়। সেই থেকে স্বামীর ঘরে আর ফেরেননি নারী কনস্টেবল রাজিয়া সুলতানা।

এলাকাবাসী জানায়, প্রায় সময় এএসআই হাসান রাজিয়াকে মোটরসাইকেলে বাসার সামনে নামিয়ে দিতেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তারা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। শিশুকন্যা নিয়ে এখন রবিউল ওই বাসায় রয়েছেন।