সবুজ পিচে টাইগারদের পরীক্ষা
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:০৬
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রিন্ট
ঘরের মাঠে তো অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও টেস্ট জিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। নিজেদের মাঠে বেশ দুর্দান্ত প্রস্তুতি। কিন্তু বিদেশের মাটিতে কেমন করবে টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে এই প্রশ্ন ছিল সবার মনেই। মুশফিকুর রহীমদের সামনেও ছিল বিশাল চ্যালেঞ্জ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টেস্টে সেই চ্যালেঞ্জটা খুব বেশি নিতে পারলো না টাইগার ক্রিকেটাররা। প্রথম ইনিংসে ৩২০ রানের একটা ইনিংস গড়তে পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে বালির বাধের মত হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ৯০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল মুশফিকুর রহীমের দল।
পচেফস্ট্রুমে প্রথম টেস্টের ব্যাটিংবান্ধব উইকেট নিয়ে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন ফাফ দু প্লেসি। সংবাদ সম্মেলনে ব্লুমফন্টেইনের কিউরেটরদের কাছে উইকেটে ঘাস দাবি করেন তিনি। গ্রাউন্ডস স্টাফরা তাঁর কথা রেখেছেন। দ্বিতীয় টেস্টে প্রত্যাশিত সবুজ উইকেট পাচ্ছেন স্বাগতিক বোলাররা। আর এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাউন্সি উইকেটে প্রোটিয়া বোলারদের সামনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তামিম-সাকিববিহীন বাংলাদেশকে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
বিশ্রামের কারণে প্রথম টেস্টে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। যথারীতি দ্বিতীয় টেস্টেও তাঁকে পাচ্ছেন না মুশফিকুর রহিম। অধিনায়কের চিন্তাটা দ্বিগুণ করে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। পায়ের পেশির চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াড থেকে ছিটকে পড়েছেন এই ওপেনার। স্বভাবতই দারুণ চাপে রয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম কোনো টেস্টে দেশসেরা এই দুই ক্রিকেটারকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
তামিম না থাকায় দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা করবেন সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস। প্রথম টেস্টে ইমরুলের ব্যাটিংটা ভালো হয়নি। আর সম্প্রতি ফর্মটা কথা বলছে না সৌম্যর পক্ষেও। এ জন্য লিটন দাসকে ব্যাটিংয়ে উদ্বোধন করতে দেখলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার অপর নাম মিডল অর্ডার। আগের টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভালো খেললেও দ্বিতীয় ইনিংসেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মুশফিকের দল। সাব্বির রহমান ব্যর্থ হয়েছেন দুই ইনিংসেই। এ ছাড়া লিটন দাসও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।
বোলিং বিভাগটাও চিন্তা বাড়াচ্ছে টাইগার সমর্থকদের। পচেফস্ট্রুম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে মাত্র দুটি উইকেটই নিতে সক্ষম হন মুস্তাফিজ-মিরাজরা। দ্বিতীয় ইনিংসেও ভীতি ছড়াতে ব্যর্থ হন নিয়মিত বোলাররা। মুমিনুল হক নেন তিন উইকেট। মুস্তাফিজ নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। এমনকি ঘরের মাঠে ত্রাস ছড়ানো মিরাজ ব্যয়বহুল প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর বিপক্ষে রান তুলতে বিন্দুমাত্র সমস্যায় পড়তে হয়নি এলগার-আমলাদের।
সমস্যা প্রোটিয়া শিবিরেও রয়েছে। দলের প্রধান বোলার মরনে মরকেল চোটের কারণে সিরিজ থেকে ছিটিকে পড়েছেন। তবে রাবাদা-ফেলুকায়েরা দু প্লেসিকে ভরসা জোগাচ্ছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলার মুমিনুলের সামনে সমস্যায় পড়তে দেখা গেছে আমলা, বাভুমাদের। দ্বিতীয় টেস্টে তাইজুল যদি টাইগার স্কোয়াডে জায়গা পান তাহলে সমসায় পড়তে পারে স্বাগতিকরা।
প্রথমে টেস্টের ভুলভ্রান্তি শুধরে বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ায় নাকি প্রোটিয়া পেসারদের দাপটে আরেকটি বড় হার নিয়ে নয় বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম ধাপটা শেষ করে।