• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

এভ্রিলকে নিয়ে যা বললেন সুন্দরী জেসিয়া

প্রকাশ:  ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ০১:৩০ | আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ০১:৩৫
বিনোদন ডেস্ক
প্রিন্ট

বুধবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ এর মুকুট  মাথায় উঠে জেসিয়া ইসলামের। একদিক থেকে তাকে সৌভাগ্যবতীও বলা চলে। কারণ এর আগে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ ঘোষণা করা হয়েছিলো জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে। কিন্তু বিয়ের তথ্য গোপন রাখার অভিযোগে তাকে বাদ দেয়া হয়। বুধবার গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ নতুন করে ঘোষণা করা হয় জেসিয়াকে। তাই সব মিলিয়ে এরই মধ্যে আলোচনায় চলে এসেছেন তিনি। জেসিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাদ পড়া জান্নাতুল নাঈমও। 

অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেসিয়াকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ করার সিদ্ধান্তটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বলছেন এবারের বিচারকার্য সঠিক হয়েছে। আগামী ১৮ই নভেম্বর চীনে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় জেসিয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। পুরান ঢাকার মেয়ে জেসিয়া ইসলাম। ১৮ বছর বয়সী এই সুন্দরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা সেখানেই। ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম ও গৃহিণী রাজিয়া সুলতানার একমাত্র সন্তান তিনি। তবে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের কারণে ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির এই সুন্দরী এখন রাজধানীর মহাখালীতে থাকেন। ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন জেসিয়া। সাউথপয়েন্ট একাডেমি থেকে ও-লেভেল সম্পন্ন করে বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। 

নাচ, গান কিংবা অভিনয়ে হাতে-কলমে কোনো শিক্ষা নেই জেসিয়ার। যা কিছু শিখেছেন এই সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্ল্যাটফর্মেই, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রুমিংয়ের মাধ্যমে। তবে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে ফ্যাশন হাউজের মডেল হিসেবে কাজ করেছেন এই সুন্দরী। ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ‘ প্রতিযোগিতার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জেসিয়া ইসলাম বলেন, এটা অবশ্যই অসাধারণ অনুভূতি। প্রকাশ করার মতো নয়। কারণ ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতাটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। আমি প্রথমে রানারআপ হয়েছিলাম। এবার আমাকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হলো। তাই অনেক বেশি আবেগআপ্লুত আমি। প্রথম যখন আপনাকে রানার আপ ঘোষণা করা হয় তখন কী কষ্ট লেগেছিল? 

জেসিয়া ইসলাম বলেন, সত্যি বলতে না। কারণ জান্নাতুল নাঈমও অনেক ভালো প্রতিযোগী। তাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণায় বিভিন্ন জায়গায় বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু আমি সব সময় বলেছি বিচারক ও আয়োজকদের সিদ্ধান্তই আমার কাছে বড়। আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছিলাম তখন এ বিষয়ে। জান্নাতুল নাঈমকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলাম। আপনি নতুন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হওয়ার পর জান্নাতুল নাঈমও তো আপনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন? জেসিয়া ইসলাম, হ্যাঁ। আমি দেখেছি তার ভিডিওবার্তা। সে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ওই যে বললাম, সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল যখন তখন আমার এতটুকু মন খারাপ হয়নি। কারণ, জান্নাতুল নাঈম অনেক ভালো একটি মেয়ে। তার সঙ্গে আমার সম্পর্কও খুব ভালো। আমার বিশ্বাস সে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ না হতে পারলেও সামনে অনেক ভালো করবে। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারবে। তার প্রতি আমারও শুভকামনা থাকবে সব সময়। 

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ আপনাকে কতটুকু পরিবর্তন করেছে? জেসিয়া ইসলাম বলেন, চ্যাম্পিয়ন তো হলাম। এটা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। কিন্তু আমাকে পুরোপুরি পরিবর্তন করেছে এই প্রতিযোগিতা। এখানকার গ্রুমিং সেশন। আমি এখন যা তার বেশিরভাগই গ্রুমিং সেশনের মাধ্যমে হয়ে উঠেছি। সম্মানিত বিচারকরাও আমাকে সব সময় উৎসাহ দিয়েছেন। আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজের সহযোগিতা ছিল অনেক। 

‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ্রগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। কী মনে হচ্ছে? জেসিয়া বলেন, সবচেয়ে বড় কথা দেশের প্রতিনিধিত্ব করবো এত বড় মঞ্চে। এবার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো। এর জন্য যত পরিশ্রম করতে হয় করবো। এখন আমার ভাবনাজুড়েই কেবল ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা। সবার দোয়া ও সহযোগিতা থাকলে আমি হয়তো পারবো। সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে। সেই আত্মবিশ্বাস আমার আছে।

সর্বাধিক পঠিত