• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

পতাকার বদলে বিছানার চাদরে মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার!

প্রকাশ:  ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৪৯
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পতাকার বদলে বিছানার চাদর বিছিয়ে এক মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার ৮নং খাগাউড়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হককে এভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনে অবহেলা ও গাফলতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মুক্তিযোদ্ধাসহ সচেতন মহল।

মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আব্দুল হকের ছেলে মো. মিজানুর রহমান এর প্রতিকার চেয়ে ডাক যোগে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। অভিযোগের একটি কপি তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও পাঠিয়েছেন।

গত শনিবার সকাল ৭টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। বিকেল ৩টায় ইমামবাড়ি তাজপুর গ্রামে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর ৩টা ১০ মিনিটে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা (গার্ড অব অনার) দেয়া হয়।

অভিযোগে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানকালে জাতীয় পতাকা দিয়ে কফিন আচ্ছাদিত করার কথা থাকলেও জাতীয় পতাকার পরিবর্তে বিছানার চাদর দিয়ে কফিন আচ্ছাদিত করা হয়। এই এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের বর্তমানে কোনো কমিটি নেই। সেই ইউনিটের দায়িত্বে রয়েছেন বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার সিংহা। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের দায়িত্বে থাকা ইউএনও উপস্থিত ছিলেন না বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া এই অভিযোগের কপি প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান, সচিব মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার সিলেট, হবিগঞ্জ জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার ও উপ-পরিচালক জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হবিগঞ্জ বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান অভিযোগকারী।

বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার সিংহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা কোনো সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অবহেলা করি না। মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে আমরা সব সময় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করি। মরহুম মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. রজব আলীকে দায়িত্ব দেয়া হয় এবং তিনি উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করা হয়।

জাতীয় পতাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বানিয়াচং থানা পুলিশকে বলা হয়েছিল পতাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু ভুলক্রমে তারা পতাকা নেননি। এটি অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল। জানতে চাইলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী পাঠান বলেন, এ ঘটনার কথা তিনিও শুনেছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথাও বলবেন তিনি।

সর্বাধিক পঠিত