• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

আমি হেরে যাইনি, হেরেছে বাংলাদেশের আইন: এভ্রিল

প্রকাশ:  ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৪৬
বিনোদন ডেস্ক
প্রিন্ট

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর খেতাব হারানো জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল জানালেন, তিনি হেরে যাননি, বরং এই ঘটনায় পরাজয় হয়েছে বাংলাদেশের আইনের। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিয়ে নিয়ে কোন তথ্য গোপন করিনি।’

এভ্রিল বলেন, ১৬ বছর বয়সী কোন মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হলে তাকে বিয়ে বলে গণ্য করা যায় না।
তিনি আরো জানান, বুধবার রাতেই আইনমন্ত্রী কোনো এক লাইভ অনুষ্ঠানে বলেছেন আইন মতে ১৬ বছরের কোনো মেয়ের বিয়ে না। আর এভ্রিল সংসার না করে কীভাবে বিবাহিত হলেন।

যেহেতু বাল্যবিবাহের কারণে খেতাব হারিয়েছেন, তাই এভ্রিল বাল্যবিবাহবিরোধী সচেতনতায় অংশ নেবেন। অবশ্য কোনো কোনো গণমাধ্যম বলছে, ওই সময় এভ্রিলের বয়স ছিল ২৩। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার একমাসের মধ্যে যে মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়, তার বয়স কিভাবে ২৩ বছর হয়?’

বয়স প্রমাণের জন্য কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন। বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রী মিলনায়তনে শুক্রবার ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিজয়ী হয়েছিলেন এভ্রিল। তখনই অভিযোগ ওঠে, বিচারকদের রায়ের প্রতিফলন হয়নি তবে। পরে অবশ্য বিয়ের তথ্য ফাঁস হলে এভ্রিলের খেতাব ফেরত নিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।  নতুন করে বুধবার বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জেসিয়া ইসলামকে।

আয়োজকরা বলছেন, জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের বিষয়টি 'মিস্ ওয়ার্ল্ড' কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তারা মতামত দেয় যে মিথ্যে তথ্য দানকারী এমন কাউকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়া উচিত হবে না।

খেতাব ফিরিয়ে নিলেও বুধবারের ওই অনুষ্ঠানে স্পন্সর লাভেলা আইসক্রিম এভ্রিলকে নিজেদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ঘোষণা করে। তিনি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতনতা তৈরি করবেন। তবে এ ঘোষণার আগেই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন এভ্রিল।

এদিকে বুধবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ায় এভ্রিল আত্মহত্যা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক সংগ্রাম করে, অনেক বাঁধা পেরিয়ে আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাতেও আমি অভ্যস্ত। হতাশ হয়ে মরে যাবার মতো মেয়ে আমি নই।’

সর্বাধিক পঠিত