কে এই জান্নাতুল নাঈম?
জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। বন্ধুরা তাকে ‘মাফিয়া গার্ল’ বলে ডাকেন। চট্টগ্রামের একটি সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণকারী এভ্রিল ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী।
মোটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন নৈপুণ্য দেখাতে পারদর্শী তিনি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এভ্রিলের নৈপুণ্য প্রদর্শনী, বাইক চালানোর ছবি ও ভিডিও। এক লাখ ৩১ হাজার ফেসবুক অনুসারী রয়েছে তার। তবে এসব কিছু ছাড়িয়ে তিনি বাংলাদেশের হাইস্পিড লেডি বাইক রাইডার হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। আর সর্বশেষ তিনি নাম লিখিয়েছেন ‘লাভেলো মিসওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ৫নং বরমা ইউনিয়ন পরিষদর ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। বাবার নাম তাহের মিয়। দুই ভাই দুই বোন।
জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। নিজের পরিচয় ও বৈবাহিক অবস্থা গোপন করে মিডিয়াতে এসেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার বেশ কয়েকজন নিকটাত্মীয়। আর এভাবেই পরিচয় গোপন করে পৌঁছে গেছেন সুন্দরী প্রতিযোগিতায়।
ঢাকায় নিজেদের বাড়ি-গাড়ি, বাবা থাকেন সিঙ্গাপুর, বড় ভাইও বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিলেও অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তার জন্ম একটি সাধারণ কৃষক পরিবারে। এখনো খুব অভাব-অনাটেন দিন কাটছে তাদের। বিয়ের আগেই এভ্রিলের চলাফেরা স্বাভাবিক ছিল না। বিভিন্ন ছেলেবন্ধুর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। বিয়ের পর বেশিদিন স্বামীর সংসার করেননি। কিছুদিন পরই সংসারের বন্ধন ছিন্ন করে চলে আসেন ঢাকায়। মিডিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য গড়ে তোলেন নিজের নেটওয়ার্ক। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির প্রোমোটর হিসেবে নিয়োগ পান।
এদিকে, জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে এলাকায় অনেকেই প্রতারক হিসেবে অভিহিত করেছেন। শুধু এলাকারই নয়, এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার বাবা স্বয়ং অভিযোগ করেছেন।
৫নং বরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান, তার নাম জান্নাতুল নাঈম। এলকায় তার বিয়ে হয়েছিল। তবে সে সংসার বেশিদিন টেকেনি। শুনেছিলাম একবার চট্টগ্রামের একটি হোটেল রেড করা পর তাকে আটক করা হয়েছিলো। ডিভোর্সের পর আর তার কোনো খোঁজ-খবর আমি জানি না।