অভিযোগ সাবেক স্বামীর
এক যুবকের হাত ধরে পালিয়ে আসে মুকুট হারানো সুন্দরী জান্নাতুল নাঈম
প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হয়েছিলেন জান্নাতুল নাঈম। চীনে অনুষ্ঠেয় আগামী বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার মূল আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল তার। জমকালো পরিসরে ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে পর্দা ওঠে লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ, ২০১৭-এর গ্র্যান্ড ফিনালের। ২৫ হাজার প্রতিযোগী থেকে সেরা তিনজন বাছাই করেন বিচারকরা।
তারপরই বিতর্কের শুরু। প্রথমে বিজয়ীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ বিতর্ক। এদিন প্রতিযোগিতার শীর্ষ ১০ প্রতিযোগীর মধ্যে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আয়োজকরা জানান, তিনি হয়েছেন দ্বিতীয় রানারআপ! পরে জান্নাতুল নাঈমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বিতর্কের একাধিক অনুষঙ্গের অরেকটি- একাধিক বিচারকদের রায় পাল্টে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার একজন বিচারক এমন অভিযোগ করেন।
এটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকলে হতো। এর মাঝেই অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ জান্নাতুল নাঈম বিবাহিত। অনুসন্ধানে জান্নাতুল নাঈমের বিয়ের খবর, ছবি, ভিডিও ও কাবিন প্রকাশ করা হয়। যাতে বলা হয় জান্নাতুল নাঈম আমেনা একজন বিবাহিত।
জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সুন্দরী আমেনাকে দেখে পছন্দ হয় সেখানকার এক যুবকের। পরীক্ষার পর বেশ ঘটা করেই পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আমেনার।
৮ লাখ টাকার কাবিননামায় উসুল ধরা হয় ৩ লাখ। বিয়ের অনুষ্ঠানে বরপক্ষ খরচ করে ১৫ লাখ টাকা। চন্দনাইশ বড়মা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী জান্নাতুল নাঈম আমেনার স্বামী জামিয়াতুল আহম্মদিয়া সুন্নি আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মনজুর উদ্দিন রানা। এসএসসি পরীক্ষায় আমেনা ৪.৪৪ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হন। মনজুর উদ্দিন রানার বাবা চুন্নু মিয়ার শখ ছিল নাতিকে নিয়ে মজা করার। কিন্তু তার আগেই বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাদের, তখন আমেনা দুই মাসের সন্তান-সম্ভবা ছিলেন বলে জানান তার স্বামী।
এরপর নিরুদ্দেশ হয়ে যান জান্নাতুল নাঈম আমেনা। দীর্ঘদিন পর তার বাবা-মা জানতে পারেন-স্থানীয় এক যুবকের হাত ধরে ঢাকায় চলে গেছে আমেনা। ঢাকায় এসে জান্নাতুল নাঈম আমেনা হয়ে যান জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে গেছেন জান্নাতুল নাঈম।