• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

এজিএম শেষেও নির্বাচন নিয়ে নিশ্চিত নয় বিসিবি

প্রকাশ:  ০২ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৫৪
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রিন্ট

অবশেষে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম)। গোটা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ক্লাব, জেলা এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে প্রতিনিধিত্ব করা মোট ১৩৫ জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছে ২০১৭ সালের সংশোধিত গঠনতন্ত্র।

নির্বাচনের দিকে এগিয়ে গেলেও এখনও সম্পূর্ণ নিশ্চিত নয় বিসিবি। কারণ সংশোধিত গঠনতন্ত্র এখন অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি)। আর এর মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে বর্তমান কমিটির মেয়াদ (আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত)। তাই বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে এনএসসির উপরই। অ্যাডহক কমিটি করা হবে নাকি বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে বোর্ডের কার্যক্রম চালাতে বলা হবে, তা এনএসসির সিদ্ধান্ত। বিসিবির বর্তমান কমিটির তাই নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণারও এখতিয়ার নেই।

সোমবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা। সভা শেষে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বললেন,  এখানে দুটি বিষয়। প্রথম কথা হচ্ছে আমাদের মেয়াদ বাড়বে নাকি কোনো অ্যাডহক কমিটি আসবে। আমাদের গঠনতন্ত্রে এমন কোনো গাইডলাইন নেই। আমাদেরকে এনএসসি সাহায্য করতে পারবে। তারা যদি চায় নতুন অ্যাডহক কমিটি করতে পারবে তাহলে তা করতে পারবেন। তারা যদি মনে করেন মেয়াদ বাড়াবেন তাহলে তা করতে পারবেন। নির্বাচনের পরে ১৫ কার্যদিবসের পর ১৬ কার্যদিবসে নতুন নির্বাচিত কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে এই কমিটি।

আমরা যদি সময় শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন ঘোষণা করে দেই তাহলে যারা জিতে আসবে তাদেরকে এ সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করবো। সেখানে একটা সুবিধা হয় যে এখানে একটা ধারাবাহিকতা থাকে। যদিও আমাদের মেয়াদ শেষ বোর্ড হয়তো তখন ওরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না কিন্তু দৈনিক কার্যক্রম চালানোর জন্য যে কাজকর্ম সেটা করে নির্বাচন যেন সুষ্ঠুমতো হয় সেজন্য সহযোগিতা করবে নির্বাচন কমিশনকে। পাপন এই নিয়মের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন,  এ মুহূর্তে আমরা সিদ্ধান্তটা নিতে পারছি না। আমার বোর্ড মিটিংয়ে আলাপ করতে হবে। এনএসসির সঙ্গে আলাপ করতে হবে। লিগ্যাল অডভাইস নিতে হবে। যেটা করার দরকার হবে সেটাই করবো।

২০১২ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে বর্তমান কমিটি। এনএসসির অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এবার সে গঠনতন্ত্রই 
পুনরায় অনুমোদন দেয় কাউন্সিলররা। খুব শিগগিরি এনএসসিতে পাঠানো হবে বলে জানান পাপন। আইসিসির গাইডলাইন মেনে মূলত ২০০৮ সালের পর তৈরি সকল গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন-পরিমার্জন তারা অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানান। পাপনের ভাষায়, ২০০৮ এর পর গঠনতন্ত্রে যে পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং ওটা যেহেতু এনএসসি থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি সেজন্য আমাদের ওখানে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এজন্য আমরা ওই গঠনতন্ত্রের উপর নির্বাচন করতে পারিনি। তাছাড়া আইসিসির গাইডলাইন ওইটার মধ্যেও ছিল না ২০০৮ এর মধ্যেও ছিল না। সেজন্য আমাদেরকে এটার মধ্যে কিছু জিনিস অন্তর্ভূক্ত করতে হয়েছে ওই সময়কার। আমরা যেটা করেছি ২০০৮ এর থেকে শুরু করে ২০১৭ পর্যন্ত যা যা আছে…যতগুলো এজিএম-ইজিএম হয়েছে যা যা সংস্করণ হয়েছে…সবগুলোকে অন্তর্ভূক্ত করে সবগুলোকে অনুমোদন দিয়েছি। তবে সর্বশেষ যেটা করেছিল ২০১৭ যে চেঞ্জ করেছি সেটাতে বড় কোনো পরিবর্তন আনিনি।

এদিকে খুব বড় কোন পরিবর্তন না করলেও এনএসসির ক্ষমতা কমানোর জন্য তাদের কাউন্সিলরশিপ কমানো হয়েছে। এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশেই এমনটা করা হয়েছে বলে জানান পাপন, এনএসসির কোটা তিনটা ছিলো, আমরা দুটি রেখেছি। সামনে হয়তো এটা নাও থাকতে পারে। এছাড়াও যথারীতি রাখা হয়েছে ক্রিকেটারদের কোটা। আর আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা তৈরি করবেন বলেও জানান পাপন। যদিও বিষয়টি ২০০০ থেকেই প্রত্যেক সভাপতি বলে আসছেন করবেন কিন্তু তা আলোর মুখ দেখেনি।

সর্বাধিক পঠিত