• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে ভাগ্য পাল্টাতে চায় ৪ বন্ধু

প্রকাশ:  ১৫ জুলাই ২০২০, ১২:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরে পড়াশোনা শেষ করে বেকারত্বের অভিশাপ মাথায় নিয়ে ও অভিভাবকের মাথার বোঝা হয়ে বসে না থেকে ৪ বন্ধু মিলে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে ভাগ্য পাল্টানোর মধ্য দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে রয়েছে। মাত্র ৬ মাসের মাথায় তারা ৮/১০ লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়ে এখন প্রায় ১৫ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে আলাপকালে জানা গেছে। তাদের নিজেদের ধারণা, তারা যদি সমাজের বিত্তবান ও সরকারের সহযোগিতা পায়, তাহলে তাদের এ ফার্মের পরিধি বাড়িয়ে এভাবে কাজ চালিয়ে যেতে যেতে আগামী এক বছরে তারা এক কোটি টাকার সম্পদের স্বপ্ন দেখতে পারবে।


পড়াশোনা শেষ করে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী গতানুগতিক চাকুরি বা ব্যবসার আশায় বসে থাকে। এসব চাকুরি বা ব্যবসার আশায় না থেকে ৪ বন্ধু মিলে নিজেরাই আত্মকর্মসংস্থানের জন্যে কিছু গঠনমূলক কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই ধারবাহিকতায় তারা গরু-ছাগলের একটি মিনি ফার্ম গড়ো তোলে। এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মিনিফার্মের নামকরণ করে আল হুলমুন ক্যাটেল ফার্ম।

 


তারা চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোডে নিজেদের খালি জমিতে গড়ে তোলে গরু-ছাগলের ফার্ম। বর্তমানে এ ফার্মে ১১টি গরু ও ৬টি ছাগল রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার পশু রয়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ফার্মের প্রত্যেকটি পশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান ফার্মের উদ্যোক্তা সারওয়াত আদনান সিয়াম, আবু নাছের চয়ন, আব্দুল্লাহ আল জাবের হেলাল ও মোকাম্মেল হোসেন পয়েল।

 


৪ বন্ধু জানান, ৬ মাস পূর্বে ফার্মটি গড়ার উদ্যোগটি গ্রহণ করি। এতে প্রথমে খরচ হয়েছে প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা। বর্তমানে প্রতিটি গরুর মূল্য রয়েছে ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। এছাড়া প্রতিটি ছাগলের মূল্য রয়েছে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা পশুগুলো বিক্রি করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। আমাদের এ ফার্মে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। আমরা অনলাইনভিত্তিক বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছি। এ থেকে অনেকেই আমাদের পালিত পশু দেখতে প্রতিদিনই আসেন আমাদের ফার্মে।

তারা আরো জানান, ভাগ্যের সঙ্গে সঙ্গে সমাজকেও আমরা কিছু উপহার দিতে পারবো বলে আশা করছি। এজন্যে দরকার আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করা। সমাজে এমন অনেক ব্যতিক্রমী পেশা রয়েছে যেখানে একটু পরিশ্রম ও চিন্তা-ভাবনা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করলে সফলতা দরজায় এসে কড়া নাড়বে। আমরা চেষ্টা করছি কিছু গঠনমূলক প্রজেক্টের ধারণা দিতে এ সমাজকে। আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। ঈদের পর আমরা সফলভাবে আশা করছি চাঁদপুরবাসীর জন্য একটি ডেইরি ফার্ম মিল্কের ব্যবস্থা করার। এ ফার্ম থেকে শতভাগ হালাল দুধ সাধারণ মানুষের জন্যে ব্যবস্থা করার স্বপ্নও রয়েছে আমাদের। এ সমাজের সচেতন অভিভাবক ও সরকারের সহায়তা পেলে আমরা অতি দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবো এবং আমাদের এ কর্মদক্ষতা দেখে আরো বেকার যুবকরা বেকার বসে না থেকে আত্মকর্মসংস্থানের চিন্তা করে এ দেশকে এগিয়ে নিতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।