• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর সরকারি কলেজে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন বিশ্বের অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা দেখছে : অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ

প্রকাশ:  ২৮ মার্চ ২০২২, ১২:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট


 মেঘনা পাড়ের বাতিঘর বলে খ্যাত চাঁদপুর সরকারি কলেজে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করা হয়েছে। ২৬ মার্চ শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ এ দিবসটির কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়। এদিন সকাল ৮টায় অঙ্গীকার পাদদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ। সকাল সাড়ে ৮টায় কলেজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর স্মারক স্তম্ভ ও স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন কলেজ পরিবার। এরপর সকাল ১০টায় শিক্ষক পরিষদ মিলনায়তনে শুরু হয় আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ। পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ২৬ মার্চ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের সভাপ্রধানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার এবং শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাছান। বাংলা বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা আক্তার এবং সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাইদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আল-আমিন। পবিত্র গীতা পাঠ করেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক গোপাল কৃষ্ণ ভৌমিক। আলোচনা সভায় দর্শন বিভাগের প্রভাষক আনিসুর রহমান, সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মোঃ ইয়াহিয়া খান, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ জসিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। সকল বক্তাই দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর অসিত বরণ দাশ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল বীর সেনানীকে। স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতাসহ ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বেগম মুজিবসহ সকল শহীদকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা দেখছে। মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে এই করোনাকালীন সময়েও আমাদের অর্থনীতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আর তাঁর সুযোগ্য কন্যার হাত ধরেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার দ্বারপ্রান্তে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন রাজনীতির কবি, স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে, যাদের আত্মত্যাগের ফলে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা। তিনি সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আর বেশী দূরে নয়।
শনিবার বেলা ১২টায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দুপুর দেড়টায় পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। বাদ আছর কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদ ও হোস্টেল মসজিদসমূহে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় কলেজ ক্যাম্পাসে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে তারণ্যের অগ্রদূত-এর পরিবেশনায় শুরু হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৬ মার্চ উপলক্ষে সম্পূর্ণ কলেজ ক্যাম্পাসকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়।

সর্বাধিক পঠিত