• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও নিয়মিত প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

প্রকাশ:  ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২০:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আরএমও ডাঃ ফয়জুর রহমান (বিএমডিসি রেজিঃ নং- ৪৮৫৪৩, মোবাইল নং-০১৭১১৩২১৩১৯) গত ২৯/০২/২০২৪ তারিখে বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরএমও হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ৩৩তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) এর মাধ্যমে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। বরগুনায় যোগদানের পূর্বে তিনি ০৮/০৮/২০১৫ তারিখ হতে ২২/০২/২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। বরগুনা জেলায় যোগদান পরবর্তী পর্যায়ে হতে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ জেলায় নিয়মিত প্রাইভেট প্র্যাকটিসসহ অন্যান্য কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাজ মেডিকেল সেন্টার (সদর) এন্ড জেনারেল হাসপাতাল এবং আশুগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে  নিয়মিত প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে যাচ্ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে কর্মস্থলে অনিয়মিত উপস্থিতি এবং সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা না দেওয়া/আচরণগত সমস্যার কারণে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ ওয়াহীদুজ্জামান তাকে একাধিকবার শো-কজ প্রদান করেছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ ওয়াহীদুজ্জামানকে একাধিকবার শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। গত ১৮/০২/২০২৪ তারিখ অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে ডাঃ ওয়াহীদুজ্জামান মানসিকভাবেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালেই দায়িত্বরত অবস্থায় মারা যান।

 এঘটনার পর তাকে বরগুনা জেলায় বদলি করা হয়। তিনি ২৯/০২/২০২৪ তারিখ বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  যোগদান করেন। যোগদান পরবর্তী তিনি ২/১ দিন মাত্র কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কর্মস্থলে তার অনুপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তার সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে তাকে শোকজ প্রদান করেন। শোকজের জবাব না দেওয়ায় তার বেতন ভাতা বন্ধ রাখা হয়। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে তার মালিকানাধীন আশুগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও জেলা সদরে নাজ মেডিকেল সেন্টার এ নিয়মিত প্র্যাকটিস করে যাচ্ছেন।

এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় রিমেলজনিত কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মস্থলে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হলেও তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন।তিনি চিকিৎসকদের সংগঠন *স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সদস্য (এলএম- ০৭০০০৯১) ও  রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ প্রাপ্ত। ফলে তিনি কর্মক্ষেত্রে অবৈধ প্রভাব বিস্তারে সবসময় সক্রিয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হলেও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এতে তিনি দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার এধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে স্বাস্থ্যখাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। একই সাথে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে।

সর্বাধিক পঠিত