• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ভিনিসিয়ুস-এমবাপের গোলে বার্সাকে ধরে ফেলল রিয়াল

প্রকাশ:  ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আন্তর্জাতিক সূচি শেষেই ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ততা ফিরেছে গতকাল (শনিবার)। চোটের কারণে ব্রাজিল জাতীয় দলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলায় না থাকলেও, রিয়াল মাদ্রিদে ফিরেই ফের ঝলক দেখালেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। একইভাবে ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে নেশন্স লিগে না খেলে বিশ্রামে কাটানো কিলিয়ান এমবাপেও রিয়ালের জয়ের রাতে গোল করেছেন।

লা লিগায় গতকাল প্রতিপক্ষ সেল্টা ভিগোর মাঠে খেলতে নেমে লস ব্লাঙ্কোসরা ২-১ গোলে জয় পেয়েছে। এমবাপে ও ভিনি গোল করেছেন একটি করে। এই জয়ে লিগের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সমান ২৪ পয়েন্ট পেয়েছে রিয়াল। যদিও এক ম্যাচ কম খেলেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দলটি। বিপরীতে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলেছে লা লিগায়।

জয়ের রাতে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে রিয়াল বল দখলে এগিয়ে থাকলেও, পিছিয়ে ছিল আক্রমণে। বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করার পর সফরকারীরা ম্যাচে লিড নেয় ২০ মিনিটে। তাতে অবশ্য দায় ছিল প্রতিপক্ষ সেল্টার। তাদের ভুলের সুযোগে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপে। ফরাসি অধিনায়ক প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে জোরালো শটে আসরে নিজের ষষ্ঠ গোলটি করেন। সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করারও সুযোগ ছিল, ৩৯তম মিনিটে সতীর্থের ক্রস বক্সে দারুণ পজিশনে পেয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে তিনি হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জ্যুড বেলিংহ্যাম হানা দেন সেল্টার রক্ষণে। যদিও তারা জোরালো শট দূরের পোস্টের পাশ ঘেষে যায়। ৫১ মিনিটেই রিয়াল উল্টো গোল খেয়ে বসে। অস্কার মিনগেসার ক্রসে পাওয়া বল ফাঁকায় থাকা সুইডেনের মিডফিল্ডার উইলিয়ট সোয়েদবার্গ পেয়ে যান। এরপর ডান পায়ের শটে সমতা এনে দেন স্বাগতিকদের। মিনিট দশেক পর লিড নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল রিয়ালও। তবে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ভুলে পাওয়া বল পেয়ে এমবাপে আরেকজনের গায়ে মেরে বসেন।

রিয়ালের খেলায় বাড়তি গতি যোগ করেন লুকা মদ্রিচ ও রদ্রিগোরা। ফ্রেদরিক ভালভারদে ও কামাভিঙ্গাকে উঠিয়ে ৬৩ মিনিটে তাদের নামান আনচেলত্তি। এরপর মদ্রিচের থ্রু পাস ধরেই ৬৬ মিনিটে গোল করেন ভিনিসিয়ুস। বক্সে বল ধরে দুই ছোঁয়ায় এগিয়ে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষকের হাতে লেগেও বল গোললাইন পেরিয়ে যায়। শেষদিকে সেল্টা রিয়ালের গোললাইনে ভীতি ছড়ায়। প্রথমবার বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া, পরেরটি যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে।