বিদায়বেলায় যত রেকর্ডের সাক্ষী হলেন রোহিত-কোহলি
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে নিজেদের বিদায় জানানোর জন্য এরচেয়ে ভালো কোনো উপলক্ষ্য হতে পারতো না রোহিত শর্মা কিংবা বিরাট কোহলির জন্য। দলকে বিশ্বসেরা করে বিদায় জানালেন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটকে। ফাইনালে বিরাট কোহলি হলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। আর রোহিত শর্মা হলেন ট্রফিজয়ী অধিনায়ক।
এমন বিদায়ের দিনে বহু রেকর্ডকে সঙ্গী করেই মাঠ ছেড়েছেন দুজন। গেল দেড় দশক ধরে ভারতের ব্যাটিং কিংবা বলতে গেলে পুরো ভারতীয় ক্রিকেটকেই দুজনে মিলে আগলে রেখেছিলেন। বহুবার তাদের দ্বন্দের কথা সামনে এসেছিল, কিন্তু কোহলি আর রোহিত মাঠে এর প্রভাব পড়তে দেননি। দুজনেই খেললেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। বিদায় বেলায় ভারতের পতাকা আর বিশ্বকাপ শিরোপা নিয়ে হাসিমুখে তুললেন ছবি।
বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা বুঝে পেল ভারত। ২০০৭ সালের উদ্বোধনী আসরের পর ১৭ বছরের অপেক্ষা শেষ করে আরও একবার শিরোপা গেল তাদের ঘরে। সেইসঙ্গে বার্বাডোজের মাঠে দেখা গেল আরও কিছু রেকর্ডের।
৩.মাত্র তৃতীয় দল হিসেবে দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করল ভারত। এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ২০১০ ও ২০২২ সালে ইংল্যান্ড জয় করেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা। ভারত জয় করলো ২০০৭ ও ২০২৪ সালে।
নিজের শেষ ম্যাচ জিতেছেন রোহিত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে তার ৫০তম জয়। এমন কীর্তি নেই আর কারোরই। দুইয়ে থাকা বাবর অবশ্য আছেন খুব কাছেই। পাকিস্তানের অধিনায়ক পেয়েছেন ৪৮ জয়।
১৬ . টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দ্য ম্যাচের রেকর্ড শেষদিনে নিজের করে নিলেন কোহলি। ১২৫ ম্যাচে ১৬বার হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ১৫ বার হয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। রেকর্ড হাতছাড়া হতে পারে খুব দ্রুতই। কিন্তু বিদায়বেলায় নিজেকে ঠিকই সবার ওপরে রেখেছেন কোহলি।
৮. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে অপরাজিত থাকার রেকর্ডে নাম লেখাল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাও আছে তাদের পাশে। ফাইনালে ওঠার পথে টানা ৮ ম্যাচ জয় করেছিল প্রোটিয়ারা। হেরেছে ফাইনালে। আর ১ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া ভারত ফাইনালসহ জিতেছে ৮ ম্যাচ।
কোন ম্যাচ না হেরেই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এমন হয়নি আগে কখনোই। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা, ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়া, ২০১৪ সালে ভারত আর ২০২৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত অপরাজেয় হয়ে ফাইনালে উঠেছিল। এদের মাঝে শিরোপা জয় করতে পেরেছে কেবল ভারতই।